অনলাইন ডেস্ক | ০৭ আগস্ট ২০১৭ | ৮:১৩ অপরাহ্ণ
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সাগরের পানিতে এক ধরণের মাংসখেকো পোকার দেখা মিলেছে। কেউ সাগরের পানিতে নামলেই মুহূর্তে তার শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে জনমনে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ভয়ে আর সাগরের পানিতে নামতে চাইছেন না। এ নিয়ে প্রশাসনও বেশ উদ্বিঘ্ন। এগুলো কী ধরণের পোকা তা নিয়ে চলছে রীতিমতো গবেষণা।
বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে এক কিশোর সাগরের পানিতে নেমে ওই পোকার আক্রমনের শিকার হওয়ার পর। পোকার আক্রমণে তার পা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। অথচ পানিতে থাকার সময় সে টেরই পায়নি তার পায়ের মাংসগুলো চলে যাচ্ছে কোন একদল মাংসভুক পোকার পেটে। পানি থেকে উঠে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়েই আতকে ওঠে ছেলেটি। ভয়ে গা শিউরে ওঠে। নিজের পা-ই অচেনা মনে হয়। পায়ের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। দরদর করে ঝরছে রক্ত। এরপরই ছেলেটিকে বাড়িতে নিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। পরে ওই কিশোরকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।
জানা যায়, গত শনিবার মেলবোর্ন শহরের ব্রাইটন সৈকতে সাগরের পানিতে নেমে ওই পোকার আক্রমনের শিকার হন স্যাম কানিজে নামের ১৬ বছরের ওই কিশোর।
তার পরিবারের দাবি এটা কোন এক ধরণের মাংসভুক সামুদ্রিক পোকার কামড়। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেউই বলতে পারছিল না যে স্যামের পায়ে আলপিন ফোটার মতো এই ক্ষতগুলো কী করে হলো। এরপরই ওই কিশোরের বাবা ছুটে যান সাগরতীরে। সেখানে দেখতে পান ছোট ছোট এক ধরণের পোকা। সেখান থেকে কিছু ধরে তিনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠান।
সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো কোন এক ধরণের সামুদ্রিক পোকা হতে পারে – যা সাগরের বিভিন্ন প্রাণীর মৃতদেহ খেয়ে বেঁচে থাকে।
বিজ্ঞানী ড. জেনেফর ওয়াকার-স্মিথ পোকাগুলো দেখে বলেছেন, সম্ভবত এগুলো লাইসিয়ানাসিড এ্যামফিপড নামের এক ধরণের সামুদ্রিক কীট।