
| শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মো. জুয়েল (২৫) নামে এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্ত্রী সুবর্না (২০) হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
জুয়েল বাঘা উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা মো. মহসীনের ছেলে। ভুক্তভোগী নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, পঁচিশ বছর বয়সে চার বিয়ে করেছেন জুয়েল। অত্যাচারে তিন স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সর্বশেষ বছর খানেক আগে বিয়ে করেছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে সুবর্নাকে (২০)। সেও রেহাই পাইনি স্বামীর নির্যাতন থেকে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে চতুর্থ স্ত্রী সুবর্নার ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের দিকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয় জুয়েল। খবর পেয়ে তার মা নাজমা ও ভাই দুলাল ওই রাতে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানায়, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার সুবর্না জানান, পরনের পায়জামার ওপর দিয়ে সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন চেপে ধরে নির্যাতন করে তার স্বামী। সেই আগুনে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। শুধু এবারই নয়, বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
সুবর্না আরও বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। গরীব পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করি।’
সুবর্নার মা নাজমা জানান, বিয়ের কয়েক মাস পর তার জামাইকে ত্রিশ হাজার টাকা ধার দেন। সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল বলেন, শুধু আমার নয়, তারও একাধিকবার বিয়ে হয়েছিল। আমার সাথে বিয়ের পর থেকে সে নিজের ইচ্ছামতো চলে। এ নিয়ে সংসারে মাঝেমধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তবে অশান্তির মূলে রয়েছে সুবর্নার মা। আর কেউ নিজের বাচ্চাকে ফেলে দিতে চায় না। দুর্ঘটনার কারণে এমনটি ঘটেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য বাঘা থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
বাঘা থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে জুয়েলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar