মাহবুব মাসুম | ১৬ জুলাই ২০১৮ | ৮:২০ পূর্বাহ্ণ
বেশি দিন হয়নি নব্বইয়ের দশকের কথা।
সুন্দরী ক্রোট প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে।তার রুপে মুগ্ধ অনেকেই। সুন্দরীতমার অপূর্ব চেহারার অন্তরালে রয়েছে ইতিহাসের অন্যতম গণহত্যার জগন্যতম খুনির প্রতিচ্ছবি।
৯০ এর দশকে মার্সাল টিটোর যুগ্লাভিয়া ফেডারেল ভেঙ্গে চারটি জাতি রাস্ট্রের জন্ম হয়। রাস্ট্র গুলো হলো ক্রোশিয়া,সার্বিয়া,মন্টিনেগ্রো ও বসনিয়া হার্জেগোবিনা।প্রথম তিনটি রাস্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষনায় কোন সমস্যা না হলেও মুসলিম প্রাধান বসনিয়া হার্জেগোবিনার স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি ভদ্রতার লেবাসধারী ইউরোপ। ফলে অনিবার্য হয়ে পড়ে একটি সর্বগ্রাসী যুদ্ধ। মুসলিমদের জাতিগত নিধন পরিকল্পনায় ক্রোট ও সার্ব জেনারেলদের লেলিয়ে দেয়া হয়।অসহায় বসনীয়রা কোনদিক থেকে অস্ত্র সাহায্য না পেয়ে নির্বিচার হত্যার শিকার হয়। বসনীয় নারীদের পাইকারী হারে ধর্ষন করে সুন্দরী কলিন্ডার বাপ ভাইয়েরা। তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যুদ্ধ বিরতির নামে কালক্ষেপ করার কারনে একরাতে হত্যা করা হয় দশ হাজারেরও অধিক বসনীয় মুসলিমকে।
সেব্রেনিৎসার বধ্যভূমির সেই ভয়াবহ চিত্র এখনও মানুষের মনে শিহরণ জাগায়। ওই সময় জাতিগত হিংসার কারণে ক্রোয়েশিয়ার বাহিনী এক লাখের বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। তাদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন হাজার হাজার বসনিয় নারী ও কিশোরী।
পরবর্তীতে বিশ্ববিবেকের চাপে জেনারেল ও সার্বদের নেতৃস্থানীয় খুনিদের হেগ এর আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। বিচারে নব্বুই এর কসাই খ্যাত দুই জেনারেল স্লোদোভান মিলো সোবিচ ও রাদোভান কারাদসিচকে সর্বোচ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। ইজ্রাইল এর মত আরো দুটি রাস্ট্র খুনি রাস্ট্রের তালিকা নাম লেখায়। ক্রোট ও সার্বরা তাদের অপকর্মের জন্য লজ্জিত নয় বরং তারা তাদের খুনি পূর্বসূরীদের নিয়ে গর্ব বোধ করে।