অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, সহ আইন সম্পাদক বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৯:৪৮ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক হচ্ছে হল বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রাণ।একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয় কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষনার মাধ্যমে। একটি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার পর দেশের সচেতন মানুষ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দলের আদর্শ, নীতি, উদ্দেশ্য এবং দলীয় প্রতিষ্ঠাতার চরিত্র, ব্যক্তিত্ব ও অতীত জেনে বিশ্বস্ততা অর্জন করলে বহু ভেবে চিন্তে – হিসাব কষে, তারপর দলে যোগ দেয়, অন্যথায় নয়।অধিকাংশ দল গঠনের পর হালে পানি পায় না। নাম মাত্র দলে পরিনত হয়।
দলের মতাদর্শ যখন দেশের মানুষের অন্তরে ঠাই পায়- দল তখন গতি পায়, সংগঠন ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করে। বিভিন্ন মতের লোক একমতে উপনিত হয়। -সংগঠন তখন জেলা, থানা, ওয়ার্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।এই ধরনের দল এক সময় নির্বাচনে জনপ্রিয়তা লাভ ও সরকার গঠন করে বা বিরোধী দল হয় ।তবে প্রতিটি দেশে সর্বাধিক তিন চারটি দল এ অবস্থান পায়।
দল সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর দল নেতার পরামর্শ,কৌশল, অভিলক্ষ্য, ভবিষ্যৎ প্রত্যয় নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং অতীত অর্জন ধরে রাখাই হয় প্রত্যেক দলের লক্ষ্য। এর ব্যাত্যয় হলে চরম মূল্য দিতে হয়।রাজনীতিতে সব সময় এক রকম যায় না।
রাজনীতি কখনই কুসুমাস্তীর্ণ নয়।দেশি ও আন্তার্জাতিক ষড়যন্র মোকাবেলা করার পূর্ব প্রস্তুতি রাখতে হয়।এর জন্য সর্ব প্রথম প্রয়োজন সু সংগঠিত দল যা তৃন মূল পর্যন্ত বিস্তৃত । সু সংগঠিত দল বট বৃক্ষের ন্যায়বিস্তৃত।যত ঝড়ই আসুক না কেন -অবিচল থাকে, নূয়ে পরে না।আদর্শের মাধ্যমে গঠিত দলকে যতই নির্যাতন করা হোক -কোন না কোন ভাবে টিকে থাকবে।
ভাঙ্গবে ,মচকাবে না এবং দলীয় আদর্শ , নীতি, সত্যাশ্র্য়ী,নির্ভীকএবং দলের জন্য নিবেদিত এমন নেতা কর্মীদের দলের দায়িত্বে রাখা অপরিহার্য। প্রকৃত পরীক্ষিত নেতা কর্মীরা দলের রক্ষক।মৃত্যু বরণ করবে, তার পরও আদর্শচ্যুত হবে না।
রাজনৈতিক সংগঠনে নেতা কর্মীদের পারস্পরিক উন্নয়ন সম্পর্ক দলকে সুদৃর করে,পক্ষান্তরে বিরোধ দলকে বিপদ গ্রস্থ করে। বিরোধ রাজনীতির জন্য যক্ষা। অন্তঃকোন্দল মুক্ত দল চীর শক্তিশালি হয়।ঐক্যই শক্তি।অদমিত থাকে নেতা কর্মীরা।
সুসংগঠন ই দলের শক্তি। একটি সুসংগঠিত দল যে কোন বিপর্যয় মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে টিকে থাকতে শক্তিশালি সংগঠনের বিকল্প নাই।