অগ্রপথিক | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ
সেবা গ্রীন লাইন নামক যমের দখলে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক। আর সড়কের মৃত্যুদূত স্বয়ং গাড়ির চালক। তা না হলে অল্প দিনে কিভাবে এতগুলো দুর্ঘটনা ঘটালো সেবা গ্রীন লাইন পরিবহন।
সবই কি দুর্ঘটনা? প্রতিরোধযোগ্য হওয়ার পরও যদি আমরা উদাসীন থাকি, কাঙ্ক্ষিত নীতি প্রণয়ন করে না এগোই, লাইসেন্সবিহীন সহকারীর হাতে তুলে দিই স্টিয়ারিং, তাহলে একে কি হতাকাণ্ড বলা যায় না?
উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ সঠিক নীতি ও কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমিয়ে আনতে পেরেছে। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্ধেক দেশ পর্যায়ক্রমে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে; কিন্তু বেড়েছে বাকি ৫০ শতাংশ দেশে- যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। এই ব্যর্থতার দায়ভার মেনে নিয়ে আমরা যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেই, পরিস্থিতি সামনে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
সেবা গ্রীন লাইন প্রতিনিয়ত যে ভাবে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে তাতে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে আর কতো দিন চলবে সেবার নামে মৃত্যুর মিছিল। আমরা চাই সেবা গ্রীন লইনের রোড পারমিট বন্ধ করা হোক সেই সাথে যত গুলো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হোক।
সেবা গ্রীন লাইন পরিবহণ ঢাকা- খুলনা মহাসড়কে কত এক্সিডেন্ট করেছে তার হিসেব সম্ভবত তারা নিজেরাও জানেনা। ৯ সেপ্টেম্বর আবারও ৬টি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সেবা গ্রীন লাইন। এত এক্সিডেন্ট করার পরেও কিভাবে “সেবা গ্রীন লাইন ” রাস্তায় চলে? সেবা গ্রীন লাইনের মালিক “অঢেল সম্পদের” মালিক হওয়ার কারনেই চালকদের এই অবৈধ দাপট! আর এই রোডে অন্য কোন ভালো বাস সার্ভিস না থাকার কারণেই মানুষ এটাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই চলাফেরা করেন। আর কত মানুষের জীবন গেলে সেবা গ্রীন লাইনের এই বেপরোয়া ভাব কাটবে? প্রশ্ন থাকলো প্রশাসনের কাছে।