অনলাইন ডেস্ক: | ০৭ জুলাই ২০১৭ | ৬:১৯ অপরাহ্ণ
বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রুজু করল সিবিআই। আজ শুক্রবার এ মামলা করার পাশাপাশি দিল্লি, গুরুগ্রাম, পাটনা ও রাঁচিতে লালুপ্রসাদের বাড়িসহ মোট ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ রাঁচি ও পুরীতে রেলের দুটি হেরিটেজ হোটেল চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে টেন্ডারে দুর্নীতি করেছিলেন।
লালুপ্রসাদ ছাড়াও মামলা করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, পুত্র তেজস্বী, যিনি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, ভারতীয় রেলের ক্যাটারিং ও ট্যুরিজম করপোরেশনের (আইআরসিটিসি) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে গোয়েল, লালু-ঘনিষ্ঠ আরজেডি নেতা সাবেক রাজ্যসভা সদস্য প্রেম গুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী সরলা দেবীর বিরুদ্ধে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, টেন্ডারে কারচুপি ঘটিয়ে হোটেল দুটি ১৫ বছরের জন্য চালানো ও তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার বিনিময়ে লালুপ্রসাদ তাদের কাছ থেকে তিন একর জমি নিয়েছিলেন। ৩২ কোটি টাকা বাজারমূল্যের ওই জমি মাত্র ৬৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় প্রেম গুপ্তর স্ত্রী সরলার কাছে। পরে সেই জমি লালুর নামে হস্তান্তরিত হয়। পাটনায় সেই জমিতে একটি শপিং মল তৈরি করা হচ্ছে। বেনামে এক হাজার কোটি টাকার বেশি জমি ও সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগে গত মে মাসেই লালুপ্রসাদসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ২২টি বাড়ি ও অফিসে আয়কর বিভাগ তল্লাশি চালিয়েছিল। তখন থেকেই লালু এ অভিযানকে তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে অভিযোগ করে আসছেন।
মামলার গতি-প্রকৃতি ছাড়াও সবার নজর এখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের দিকে। লালু-পুত্র তেজস্বী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী। মামলা শুরু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে নিতিশ কোনো ব্যবস্থা নেন কি না তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থনের পর নিতিশ রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকেও সমর্থন করছেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মহাজোট ত্যাগ করে বেরিয়ে এসে ভবিষ্যতে নিতিশ এনডিএকে সমর্থন দিতে পারেন।