
| বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ | প্রিন্ট
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় গরু, ছাগল, ভেড়া মিলে ২৯ হাজার কোরবানির পশুর যোগান দিবেন কুমারখালীর কৃষক-খামারিরা। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দাম ও বিক্রি নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত তারা। তারপরও ভারতীয় গরুর আমদানি বা অনুপ্রবেশ না হলে ভালো লাভবান হতে পারেন বলে মনে করছেন অনেক ব্যবসায়ী ও খামারিরা।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৮ শত ৮৭ টি খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব পশু। এর মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৬ শত ৯৩ টি, বলদ ৫ হাজার ৫ শত ৪ টি এবং ছাগল-ভেড়া আছে অসংখ্য। দেশি জাতের গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে ৯০ ভাগ। এ ছাড়া রেড চিটাগাং, ক্যাটেল শাহিয়াল, ফ্রিজিয়ান ও জার্সি মিলিয়ে রয়েছে বাকি ১০ ভাগ। পশুগুলোর শেষ পর্যায়ের পরিচর্যায় এখন সময় কাটছে পালনকারীদের।
স্থানীয় লালনবাজার এলাকায় গরু পালনকারী মামুন অর রশিদ জানান, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় ও করোনার কারণে লোকসান হবে কি-না তা নিয়ে শংকায় আছি। প্রতিবছরই শংকর ও দেশী জাতের ৩/৪ কোরবানির গরু পালন করে থাকেন বলেও জানান তিনি।
কুমারখালী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গরু মোটাতাজাকরণে সমৃদ্ধ এ উপজেলার ৬০ ভাগ গরু ঢাকার গাবতলী, চট্টগ্রাম পশু হাটে বিক্রি হয়। করোনা বিপর্যয়ের কারণে কোরবানিযোগ্য পশু অনলাইনভিত্তিক বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশু কিছুটা কম বিক্রি হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
Posted ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩০ জুন ২০২১
ajkerograbani.com | faroque
.
.
Archive Calendar