
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ব্ল্যাকহেডসের কারণ- তৈলাক্ত ত্বক। এটা আসলে এক ধরনের ব্রণ, যার ওপরে কোনো পর্দা থাকে না। বাইরের ধুলোবালি আর জীবাণুর কারণে কালচে দেখায়। মূলত মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ব্ল্যাকহেডস হয়।
ধুলোবালি ও ত্বকের মৃত কোষ জমে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম প্রথম হালকা কালো ছোপ ছোপ দাগ হওয়ায় কেউ একে গুরুত্ব দেয় না। শুরুর দিকে ব্ল্যাক হেডসের ছিদ্র কম থাকে। সময়মতো যত্ন না নিলে এই দাগ সারা মুখে ছড়িয়ে যায়। যতই তুলে ফেলা হোক না কেন, তা আর রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
মূলত কিশোরী থেকে প্রৌঢ় বয়সীদের মাঝে এর প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। কিশোর বয়সে হরমোনের নানা পরিবর্তন ঘটে। ফলে এ সময়ে স্বাভাবিকভাবে ত্বক অনেকটাই সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। আর তাই দেখা দেয় এই সমস্যা।
প্রতিকার : প্রথমেই বলা হয়েছে ব্ল্যাকহেডস এক ধরনের ব্রণ যার ওপর কোনো পর্দা থাকে না। ত্বকে ধুলোবালি ও তৈলাক্ততা মিশে বাতাসে অক্সিডায়েস হয়ে কালো বর্ণ ধারণ করে। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কারই ব্ল্যাক হেডস থেকে মুক্তির মূলমন্ত্র।
১। প্রতিদিন ঘরে ফিরে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। সঙ্গে যদি আইস কিউব ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন।
২। বেকিং সোডা ত্বকের রন্ধ্রগুলোকে খুলে দেয়। ফলে ধুলোময়লা, ত্বক থেকে টেনে বের করে ব্ল্যাক হেডস কমায়। ১ চা চামচ বেকিং সোডা এবং এক কাপ গরম পানি মিশিয়ে নিন। এবার বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাতে মিশ্রণটা ঢেলে দিন। এবার তোয়ালে মাথার ওপর দিয়ে ঢেকে গরম পানির বাষ্প সরাসরি মুখে নিন। কিছুক্ষণ পর মুছে নিন।
মেকআপে সতর্কতা : ব্ল্যাকহেডস প্রতিকারে শুধু ত্বকচর্চা যথেষ্ট নয়, কিছু নিয়মও মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার বা মেকআপ ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী করে। আর প্রসাধনী ব্যবহারের পর ভালোমতো পরিষ্কার করে নিন। এ ছাড়া মুখের জন্য আলাদা তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করুন।
Posted ১২:৫৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin