
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
শিশু খাটো হওয়ার নানা কারণ আছে। আবার অনেক সময় কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কন্যাশিশু খাটো হলে বা আশানুরূপ না বাড়লে এটা টার্নার সিনড্রোম হিসেবে ধরে নেয়া যায়। গড়ে প্রতি ২ হাজার ৫০০ কন্যাশিশুর মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
রোগটি জন্মগত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বংশানুক্রমিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এটি ক্রোমোজমের সমস্যা, যাতে শিশু ভ্রূণ থেকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হওয়ার সময় একটা সেক্স ক্রোমোজম হারিয়ে যায় বা পরিবর্তিত হয়। তাই টার্নার সিনড্রোমের শিশুদের বেশির ভাগেরই ৪৬টির পরিবর্তে ৪৫টি ক্রোমোজম থাকে। যদিও শতকরা ৯৯ ভাগ টার্নার সিনড্রোমের ভ্রূণ গর্ভে ২৮ সপ্তাহ হওয়ার আগেই মারা যায় এবং গর্ভপাত ঘটে। এরপরেও গড়ে প্রতি ২ হাজার ৫০০ জীবিত কন্যাশিশুর মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়।
শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে এদের বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিক থাকে। তবে ৭০ ভাগেরই লেখাপড়ায় নানা ধরনের অসুবিধা হয়। এই রোগের লক্ষণ:
কন্যাশিশু হাত-পা ফোলা, বিশেষ মুখাকৃতিসহ ছোট থুতনি, ঢেউয়ের মতো ও ক্ষুদ্রাকৃতির ঘাড়, পেছন দিকের চুলের রেখা নিচে নামানো, ঢালের মতো বক্ষ, স্তন যুগলের বেশি দূরত্ব, হাতের কোণ বেড়ে যাওয়া, চোখের সমস্যা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো: জন্মের আগেই পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভস্থ শিশুর এ সমস্যা চিহ্নিত করা যেতে পারে। যেমন সন্তান মায়ের পেটে আসার ১০ থেকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাম করা, মায়ের রক্ত নিয়ে বা মায়ের পেটের পানি নিয়ে পরীক্ষা করা (এমনিওসেটেসিস), ভ্রূণের টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা (সিভিএস) করা।
চিকিৎসা আছে:
সাত বছর বয়স থেকে গ্রোথ হরমোন দিয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি এবং পরবর্তী সময়ে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাধ্যমে বয়ঃসন্ধিজনিত সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কান, হাড়ের সমস্যা, কোলেস্টেরল ও থাইরয়েডের চিকিৎসা দরকার হয়।
Posted ৬:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin