
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:
খোলা টয়লেট বা উন্মুক্ত স্থানে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার অভ্যাস কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে উন্মুক্ত স্থান বা খোলা টয়লেট ব্যবহার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্যানিটেশন র্যাংঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে অনেক চ্যালেঞ্জ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডেইলি স্টার মিলনায়তনে ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশান ইমপ্রুভ স্যানিটেশন অ্যান্ড হেলথ বা ‘ফিনিশ মনডিয়াল’ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘বাংলাদেশে পানি ও স্যানিটেশন (ওয়াশ) খাতে অর্থায়ন এবং বেসরকারি খাতে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ’ নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফিনিশ মনডিয়ালের পরামর্শক ওয়াহিদা আনজুম, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ইমপ্যাক্ট বিজনেস প্রধান শুভাসিস বড়ুয়া এবং কর্ড এইডের আবুল কালাম আজাদ।
ফিনিশ মনডিয়ালের সুপারভাইজারি বোর্ড এবং পিকেএসএফের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. ফজলুল কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে অনেক লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। এভাবে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ওয়াশ খাতে উন্নয়ন সম্ভব।’
তারা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি-৬ অর্জনে দরকার স্যানিটেশন খাতে অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করা। এভাবে ওয়াশ খাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এসএমই হতে পারে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠি।’
প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফোলকের্ট ডি জাগের, বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থনীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোর্শেদ মিল্লাত, পিকেএসএফের কনসালটেন্ট আজহার আলী পরামানিক,
ফিনিশ মনডিয়ালের কান্ট্রি সমন্বয়ক মাহবুল ইসলাম, গন উন্নয়ন কেন্দ্রের অখিল চন্দ্র বর্মণসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, দেশজুড়ে বিস্তৃত ওয়াশ সেবা পারে বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ করতে। তাই এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় অবশ্যই বিশেষ সুযোগ থাকা উচিত, যাতে প্রয়োজন অনুসারে সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেয়া যায়। এভাবে ট্রাডিশনাল বা আগের পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে পানি ও স্যানিটেশন, অর্থাৎ ওয়াশ খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করেন তারা।
ফিনিশ মনডিয়ালের কান্ট্রি সমন্বয়ক মাহবুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে এখনো ৪৬ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট দরকার। এইদেশে দৈনিক ২৫ হাজার টন ময়লা হয়, দৈনিক ৩৪ হাজার টন পয়ঃবর্জ্য হয়। এই সেক্টরে ৫ লক্ষ মানুষ কাজ করে। তারা সবাই ইনফরমাল, তাদের অর্থ বা পুঁজি দরকার। এই সেক্টরে কি করা যায় তাই নিয়ে উদ্যোক্তা, ব্যাংক আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানদের চলছে গোলটেবিল বৈঠক।’
ফিনিশ মনডিয়াল হচ্ছে ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশান ইমপ্রুভ স্যানিটেশন অ্যান্ড হেলথ বা ফিনিশ মনডিয়াল হচ্ছে নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ।
Posted ৩:৪১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin