
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
একলাম্পশিয়া এক ধরনের খিঁচুনি, যা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের হয়। সাধারণত বিশ সপ্তাহের পর হয়। ডেলিভারির সময় এবং ডেলিভারির পরও হতে পারে। এই রোগে চোখ-মুখ উল্টে যায় এবং হাত-পা শক্ত হয়ে যায়। অজ্ঞান হয়ে পড়েন রোগী। গ্রামে অনেক সময় একে জিন-ভূতের আছর বলা হলেও এটি আসলে মারাত্মক রোগ ‘একলাম্পশিয়া’। এই রোগ মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ। একলাম্পশিয়া ও প্রি-একলাম্পশিয়া রোগের কারণে ২০ শতাংশ মায়ের মৃত্য হয়।
কারণ
কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। যেমন : কম বয়সে বিয়ে, কম বয়সে বাচ্চা ধারণ, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, ক্যালসিয়ামের অভাব এবং আরো অজানা কারণ।
লক্ষণ
প্রেশার অনেক বেড়ে যাওয়া। হাত-পা ফুলে ঢোল হওয়া, মাথাব্যথা, চোখে অন্ধকার দেখা, বুকে ব্যথা, সর্বশেষ চোখ-মুখ উল্টিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। পড়ে যাওয়ার ফলে অনেকের ইনজুরিও হয়। এর মধ্যে জিহ্বা কেটে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভফুল সেপারেট হয়ে বাচ্চা মারা যায়। হার্ট, লাং, লিভার, কিডনি অকেজো হয়ে যায়। এমনকি ব্রেন স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
করণীয়
উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে প্রস্রাবে অনেক বেশি প্রোটিন (এলবুমিন) যাচ্ছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার মাধ্যমে রোগটি শনাক্ত করা যায়। বাচ্চা যে অবস্থায় থাকুক না কেন, একলাম্পশিয়া হলে ডেলিভারি করিয়ে ফেলতে হয়। এটাই নিয়ম। এ ছাড়া পথ থাকে না। রোগটাও এমন বেয়াড়া, যত চিকিৎসাই দেওয়া হোক না কেন, ডেলিভারি না করালে রোগী সুস্থ হবে না। প্রয়োজনে মা-বাচ্চা দুজনেরই জান নিয়ে নেবে, তবুও দাঁত কামড়ে পড়ে থাকবে যতক্ষণ না ডেলিভারি করানো হয়। রোগটি প্রতিরোধের কিছু উপায় আছে। তবে সব ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করা যায় না। ম্যাগনেশিয়াম সালফেট নামক এক ধরনের ওষুধ যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এ ক্ষেত্রে। তা ছাড়া রিস্ক ফ্যাক্টর এড়িয়ে চললে কিছুটা সুফল পাওয়া যায়। তাই রোগটি সম্বন্ধে জানার কোনো বিকল্প নেই।
Posted ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin