
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মুসলিমমাত্রই জানে যে ইয়াজুজ-মাজুজ একটি বর্বর জাতি, যাদের অনিষ্ট থেকে সভ্য মানুষদের রক্ষার্থে জুলকারনাইন বাদশাহ শক্ত প্রাচীর তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন যে, তারা এবং তাদেরকে ঘেরাওকৃত প্রাচীরটি কোথায় অবস্থিত? এর জবাবের প্রথমেই জেনে নেই এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে কী এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশেষে যখন সে (বাদশাহ জুলকারনাইন) পথ চলতে চলতে দুই পর্বতের মধ্যবর্তী ভূখণ্ডে পৌঁছল, সেখানে এমন এক জাতিকে পেল, যারা তার কথা সুস্পষ্ট বুঝতে পারছিল না। তারা বলল, ‘হে জুলকারনাইন! নিশ্চয় ইয়াজুজ ও মাজুজ জমিনে অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাই আমরা কি আপনাকে কিছু খরচ দেব, যাতে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝে একটা প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন?’ সে বলল, ‘আমার রব আমাকে যে সামর্থ্য দিয়েছেন, সেটাই উত্তম। অতএব তোমরা আমাকে শ্রম দিয়ে সাহায্য করো।
তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও।’ অবশেষে যখন সে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী জায়গা সমান করে দিল, তখন সে বলল, ‘তোমরা ফুঁক দিতে থাকো।’ অতঃপর যখন সে তা আগুনে পরিণত করল, তখন বলল, ‘তোমরা আমাকে কিছু তামা দাও, আমি তা এর ওপর ঢেলে দিই।’ এরপর তারা প্রাচীরের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারল না এবং নিচ দিয়েও তা ভেদ করতে পারল না। সে বলল, ‘এটা আমার রবের অনুগ্রহ। অতঃপর যখন আমার রবের ওয়াদাকৃত সময় আসবে তখন তিনি তা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। আর আমার রবের ওয়াদা সত্য।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৯৩-৯৮)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশেষে যখন ইয়াজুজ ও মাজুজকে মুক্তি দেওয়া হবে, আর তারা প্রতিটি উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে।’
(সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ৯৬)
Posted ৯:১১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin