
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
মিতব্যয়িতা বরকতময় জীবনের সূত্র। আল্লাহর ভালোবাসা লাভের মাধ্যম। তাই মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মিতব্যয়ী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি একেবারে ব্যয়কুণ্ঠ হয়ো না আর একেবারে মুক্তহস্তও হয়ো না, তাহলে তুমি তিরস্কৃত, নিঃস্ব হয়ে বসে থাকবে।
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৯)
এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, মহান আল্লাহর নিয়ামতগুলো তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতি মেনে ভোগ করতে হয়, যদি তা না করা হয় তাহলে মানুষকে বিপদ, অভাব-অনটনের সম্মুখীন হতে হয়। রিজিকের বরকত উঠে যায়। তাই মানুষের দায়িত্ব হলো, মহান আল্লাহপ্রদত্ত নিয়ামতগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। অপব্যয় ও কৃপণতা থেকে বিরত থাকা।
যারা মহান আল্লাহর নিয়ামত থেকে খরচ করার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে, মহান আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। পবিত্র কোরআনে প্রিয় বান্দাদের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৭)
আমরা অনেক সময় অনর্থক খরচ করি। মহান আল্লাহর দেওয়া রিজিক আমরা যথাযথভাবে খরচ না করে অপাত্রে খরচ করি। এগুলো আল্লাহ পছন্দ করেন না। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের তিন বস্তু পছন্দ করেন আর তিন বস্তু অপছন্দ করেন। আল্লাহর পছন্দনীয় বস্তুগুলো হলো, তাঁর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কাউকে অংশীদার না করা এবং সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা, বিচ্ছিন্ন না হওয়া। আর আল্লাহর অপছন্দনীয় বস্তু তিনটি হলো, অহেতুক কথা বলা, অহেতুক প্রশ্ন করা ও অনর্থক সম্পদ বিনষ্ট করা। (মুসলিম, হাদিস : ১৭১৫)
এর মানে এই নয় যে, প্রয়োজনীয় খাওয়া-পরা বন্ধ করে দিতে হবে। বরং এগুলোতে যাতে অনর্থক খরচ যোগ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, পানাহার করো, সদকা করো আর পোশাক পরিধান করো, যতক্ষণ তা অপচয় ও অহংকার মিশ্রিত না হয়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৬০৫)
তাই আমাদের উচিত মিতব্যয়ী হওয়া, কখনো অপব্যয় না করা। মহান আল্লাহ অপচয়কারীদের ব্যাপারে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৭)
Posted ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin