
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি গত শুক্রবার বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন। পরে ভারতের আদানি গ্রুপের এই চেয়ারপারসন তৃতীয় স্থানে নেমে যান।
ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী, গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বার্নার্ড আর্নল্ট ও আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
ফোর্বসের তাৎক্ষণিক সম্পদের তালিকা অনুযায়ী, আজ রবিবার আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে গত শুক্রবার তার সম্পদ ১৫৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উঠে এসেছিল।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২৭৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরেই রয়েছে বার্নার্ড আর্নল্ট অ্যান্ড ফ্যামিলির নাম। তাদের সম্পদের পরিমাণ ১৫৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সম্পদের পরিমাণের দিক দিয়ে ভারতীয় ধনকুবের আদানির চেয়ে এগিয়ে আছেন টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক ও বার্নার্ড আর্নল্ট।
এই প্রথমবার এশিয়ার কোনো ব্যক্তি শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোস দীর্ঘদিন ধরেই এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন।
শুক্রবার শেয়ারবাজার খুলতেই আদানি গ্রুপের পোয়াবারো হয়। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্ট ও আদানি ট্রান্সমিশন রেকর্ড স্তরে পৌঁছে যায়। শেয়ারবাজারের এই মুনাফায় ভর করেই সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আদানির সম্পদ ফুলেফেঁপে ওঠে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আদানির সম্পদ ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যাঁরা ১০ নম্বরের ভেতরে রয়েছেন, চলতি বছর তাদের মধ্যে কারো সম্পদ এত বৃদ্ধি পায়নি। ফলে বছরের শুরু থেকেই আদানি দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির মুকুট ছিনিয়ে নেন আদানি। গত মাসে ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় বিল গেটসকে ছাপিয়ে যান। আদানির কাছে ‘হেরে গেছেন’ আমাজনের জেফ বেজোসও।
৬০ বছরের আদানি হলেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। বন্দর, অবকাঠামো-সংক্রান্ত বিষয়, তাপবিদ্যুৎ, আবাসনের মতো খাতে বিশাল বিনিয়োগ আছে আদানি গ্রুপের।
সূত্র: ফোর্বস, সিএনএন
Posted ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin