
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ঈদে নতুন জামা আব্দার করেছিলেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী লতা খাতুন (১৪)। দরিদ্র বাবা রওশন আলীর পক্ষে সম্ভব হয়নি তার নতুন জামা কিনে দেওয়ার। অভিমান করে চলতি বছরের ৬ জুলাই রাতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে সে। গত ২১ মে একই উপজেলার হান্ডিয়ালে প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে দুই স্কুলছাত্রী যুথী আক্তার (১৫) ও শাবানা খাতুন (১৫)।
এভাবে তুচ্ছ ও ছোটখাটো ঘটনায় উত্তরের জেলা পাবনায় দিন দিন বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। এ বছরের জানুয়ারী থেকে আগস্ট এই আট মাসে জেলার ১১টি থানা এলাকায় মোট আত্মহত্যা করেছেন ৩০৫ জন। এর মধ্যে রয়েছে শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী, পুরুষ ও নারী।
আর এসব আত্মহত্যার ঘটনার মধ্যে পাবনা সদর উপজেলায় ১০৮ জন, আতাইকুলা থানা এলাকায় ১২ জন, ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫৬ জন, আটঘরিয়া উপজেলায় ১০ জন, বেড়া উপজেলায় ৭ জন, সাঁথিয়া উপজেলায় ২৮ জন, চাটমোহর উপজেলায় ৩৭ জন, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১২ জন, ফরিদপুর উপজেলায় ১৩ জন, সুজানগর উপজেলায় ১৬ জন এবং আমিনপুর থানা এলাকায় ৬ জন। এসব আত্মহত্যার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও ৩০ শতাংশ পুরুষ।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউল আযম কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে বিশ্বে কেউ না কেউ আত্মহত্যা করে মারা যায়। পাবনা জেলাতেও এর প্রবণতাটা বেশি দেখা যায়। আত্মহত্যা করার পেছনে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন কারণ থাকে। মানসিক সমস্যার মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া, বাইকুলার মুড ডিজঅর্ডার ও ডিপ্রেশন। পারিবারিক কিছু বিষয় থাকে যেগুলো সে মেনে নিতে পারে না। বিষন্নতাও অন্যতম কারণ।
Posted ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin