
ফরিদপুর প্রতিনিধি | সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে ফরিদা বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামী সরোয়ার শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার শেখ মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- সরোয়ার শেখের মা ছাহেরা বেগম ও মামা ওবায়দুল শেখ এবং আলিয়ার শেখ।
জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে ফরিদা বেগম তার মাকে ফোন করে বলেন ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে মারধর করছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদার মা লোক মারফত খবর পান যে, তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন বাড়ির বারান্দায় শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে ফরিদা। এ সময় তিনি মেয়ের গলায় ফোলা ও কাপড় পেঁচানো দাগ দেখতে পান। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত জব্দ করে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে।
এদিকে, ময়নাতদন্তে গৃহবধূ ফরিদাকে গলাটিপে হত্যার রিপোর্ট পাওয়া যায়। পরে আদালতে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান আগের দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহতের গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। এতে গলাটিপে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়। আসামি সরোয়ার শেখের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড ও একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
Posted ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin