নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সম্প্রতি ‘অস্বীকৃত’ বেসরকারি মাদরাসাগুলো জরিপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশ সরকার। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জরিপ সম্পন্ন করতে বলা হয়। পরবর্তী ১০ দিনের ভেতর জরিপের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিশ্বখ্যাত ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদে আড়াই শ মাদরাসার প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে জরিপের সময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার জন্য ১২ সদস্যের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। তবে ভারতের সাধারণ মানুষ মনে করছে, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ডের প্রধান মাওলানা আরশাদ মাদানি এবং দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান পরিচালক মাওলানা আবুল কাসেম নোমানিসহ ভারতের শীর্ষ আলেমরা। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি মাদরাসা জরিপের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো অভিযোগ নেই। দেশের সংবিধানের আলোকে এসব মাদরাসা পরিচালিত হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের স্বাধীনতায় মাদরাসাগুলোর গৌরবময় সংগ্রামের ইতিহাস কারো ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তাই সাম্প্রতিক জরিপে দুই একটি মাদরাসায় কিছু নিয়ম-নীতির অমান্য হলেই পুরো মাদরাসা ব্যবস্থাপনাকে অবমাননা করা উচিত নয়।
জরিপের কাজে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা মাদানি বলেন, ‘মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উচিত সমীক্ষা কাজে দায়িত্বশীলদের যথাযথ তথ্য দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা।’ অডিট রিপোর্টের মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নথিপত্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি মাদরাসা প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘তাছাড়া কোনো মাদরাসার জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা থাকলে কর্তৃপক্ষের উচিত তা মিটিয়ে ফেলা। আর সরকারি জমিতে কোনো কিছু থাকলে শরিয়তের দৃষ্টিতেও তা অনুমোদিত নয়, তা সরিয়ে ফেলাও কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
Posted ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin