
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
যশোরে ভারতফেরত এক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত সিপাহি মনিরুজ্জামানের নামে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ (৩১)।
তার আইনজীবী রুহিন বালুজ জানান, পাসপোর্টধারী যাত্রী মাসুদ আহম্মেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসুদ আহম্মেদের তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যাবসায়াক কাজে ভারতে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেশে ফেরার সময় পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুলপ্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিকস নিয়ে আসেন। ওই পণ্যগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে বেনাপোলের সাদিপুর রাস্তার মোড়ের পূর্ব পাশে জিএম পরিবহন কাউন্টারের সামনে পৌঁছলে বিজিবির সিপাহি মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে চেপে ইজিবাইকের সামনে এসে গতিরোধ করেন। এ সময় তাকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভেতরে মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় অভিযুক্ত বাদীকে বলেন, ‘এসব মালামালে সমস্যা আছে। আমাকে ৫০ হাজার টাকা দে, তাহলে মালামাল ছেড়ে দেব।’ বাদীর কাছে টাকা নেই জানালে আসামি বাদীকে গালিগালাজ শুরু করেন। বাদী আসামির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন বললে আসামি বাদীকে বলেন যে ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে আমি ক্রসফায়ার করব, অথবা অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেব।’ একপর্যায়ে তাকে তাড়িয়ে দেন। ঘটনা ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিবি সিপাহি মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোনো মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে যশোর ৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কোনো বিজিবি সদস্য কারো মালামাল লুট করতে পারেন না। বরং তারা উদ্ধার করে কাস্টমসে জমা দেন। তবে যিনি মামলা করেছেন ওনার প্রথমে উচিত ছিল মামলা করার আগে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করতাম। দোষী প্রমাণিত হলে ওই বিজিবি সদস্যকে আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় আনা যেত। বিজিবির বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমাদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে।
Posted ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin