নিজস্ব প্রতিবেদক: | বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
সৌদি আরবে বাংলাদেশি হিমায়িত মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও জোগান কম থাকায় বাজার ধরতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে দেশটিতে হিমায়িত মাছের বাজার দখল করা সম্ভব বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
করোনার পর রফতানি খাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিভিন্ন দেশ। সৌদি আরবে হিমায়িত মাছ রফতানিতেও পড়েছে এর প্রভাব।
সৌদি আরবে মাছ রফতানির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটিতে নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রবাসী আমদানিকারকদের অভিযোগ, দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতির কারণেই কমেছে মাছ রফতানি। হারাতে হচ্ছে বাজার।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল–বিল, হাওড়–বাঁওড় ও পুকুরের মাছের ব্যাপক চাহিদা। প্রবাসী বাংলাদেশিরাই মূলত এসব মাছের ভোক্তা। কয়েক বছর আগেও দেশটিতে রফতানি হতো বিপুল পরিমাণ মাছ। মন্ত্রণালয় তৎপর হলে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ডলারের বেশি। এর মধ্যে মোট রফতানির ৯৯ শতাংশই মাছ।
জটিলতা দূর হলে বাংলাদেশি হিমায়িত মাছ রফতানি ২০ থেকে ২৫ গুণ পর্যন্ত বাড়বে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
Posted ৪:০০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin