
নিজস্ব প্রতিবেদক: | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গৃহস্থালি কাজের ৯৮.৫৪ শতাংশ ভার বহন করেন নারী, বিপরীতে পুরুষ মাত্র ১.৪৬ শতাংশ। অন্যদিকে মাত্র ৬.৮৯ শতাংশ নারী কৃষিজমির মালিক, বিপরীতে পুরুষ ৯৯.১১ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ এবং প্রতিবন্ধীদের ওপর পরিচালিত জরিপটির তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ইউএন উইমেনের কারিগরি সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ মোকাবিলার ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়।
টেকনাফ, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রামের ৯১ হাজার ৮৭১টি পরিবারের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে অংশ নেয় ৫০.১৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৯.৭৮ শতাংশ নারী। ২০২১ সালের মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাস জরিপটি পরিচালিত হয়।
জরিপে দেখা গেছে— কৃষি, ব্যবসা, দিনমজুরের কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে ১০.৬০ শতাংশ নারী এবং ৮৯.৪০ শতাংশ পুরুষ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গ, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু, শিশুসহ সবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগোষ্ঠী সম্পর্কে পৃথক মূল্যায়ন এবং সুনির্দিষ্ট চাহিদা পূরণে সকল স্তরের উদ্যোগ প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগের সচিব ডা. শাহনাজ আরেফিন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিযোজন, প্রশমন এই উভয় পদ্ধতিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি ন্যায়সংগত, টেকসই ও স্থিতিস্থাপক বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষাবিদ, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি, সর্বস্তরের সংস্থার সঙ্গে সম্মিলিতভাবে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি ইউএন উইমেন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ গীতাঞ্জলি সিং বলেন, এই জরিপ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, কিভাবে স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ঝুঁকি কমাতে লিঙ্গসমতা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ঝুঁকির মধ্যে সমন্বয় করতে এসব তথ্য ব্যবহার করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।
Posted ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin