
নিজস্ব প্রতিবেদক: | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে। মিলবে আপন ঠিকানা। ছেলেমেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করবো পাকা বাড়িতে। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্বপ্নের ঠিকানা পেয়েছি। আর সেই ঘরে বইছে সুখের হাসি। এভাবে কথাগুলো বলছিলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের দেবরাজ গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তৃতীয় ধাপে নির্মাণ হয়েছে ৬০টি ঘর। এ নতুন ঘরে এক মাস ধরে বসবাস শুরু করেছেন ৪৫টি পরিবার। বাকি ১৫টি ঘরে আংশিক কাজ বাকি রয়েছে। বিদুৎ সংযোগের কাজ চলছে। তবে আপন ঠিকানায় সুখের স্বপ্ন বুনছেন তারা।
সামছুল আলম খান বলেন, স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে নিয়ে আমার সংসার। একমাত্র মেয়ে ছিল, বিয়ে দিয়েছি। ৩ বছর ধরে অসুস্থ আমি। নদীগর্ভে সবকিছু হারিয়ে এক সময়ে পথে পথে দিনযাপন করছি। এখন আপন ঠিকানা পেয়ে সব কষ্ট ভুলে গেছি। পাকা ঘর পেয়ে এখন হাসি-খুশিতে আছি।
স্বামী পরিত্যক্তা রাশিদা বেগম। দুই ছেলে থেকেও খোঁজ নেন না কেউ। নদীতে কোনোমতে নেট বেয়ে পোনামাছ ধরে সংসার চালান তিনি। তবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে সব কষ্ট ভুলে আপন ঠিকানায় সুখের স্বপ্ন বুনছেন তিনি।
প করণ ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, মুজিববর্ষের উপহার তার ইউনিয়নে দেবরাজ গ্রামে ৬০টি গৃহিহীন পরিবার পেয়েছে নতুন ঘর।
ইউএনও জাহঙ্গীর আলম বলেন, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের নতুন ঘর নির্মাণে এ উপজেলায় ৩ ধাপে ৩১৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে দেবরাজে ৬০ ঘরের মধ্যে ৪৫টি ঘরে বসবাস করছেন। এদের জীবনযাত্রার মানউন্নয়নে ইতোমধ্যে মহিলাদের সেলাই মেশিন, মৎস্য চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আত্মকর্মসংস্থানের বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি, মৎস্য ও নকশি কাঁথা প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
Posted ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin