
নিজস্ব প্রতিবেদক: | শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
অভিযুক্ত মোঃ মাকসুদুর রহমান
ভোলায় মাদকাসক্ত স্বামীর অত্যাচারের ভয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে স্ত্রী পারভিন বেগম । জেলার দৌলতখাঁন উপজেলার চরপাতা গ্রামের নাছির হাওলাদারের ছেলে উপজেলা পরিষদের ( সি এ ) কম্পিউটার অপারেটর মোঃ মাকসুদুর রহমানের সাথে লালমোহন পৌরসভার নং ৭ ওয়ার্ডের মোঃ নুরু মিয়ার মেয়ে পারিভন বেগমের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারভিন জানতে পারে মাকসুদ রহমান মাকাসক্তের কারনে তার ১ম স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে ঢাকায় গার্মেন্টস এর চাকুরী করে জীবন যাপন করছে । দুই সন্তানের কথা বিবেচনা করে। বার বার স্বামীকে বুঝাতে ব্যার্থ হয়ে একাধিক বার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতে হয় পারভিন বেগমকে। স্বামীর অত্যাচার থেকে বাচঁতে এবং স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে ভোলা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেও স্বামীর ভয়ে নির্ধারিত তারিখে হাজির হতে পারেননি বলে জানান অসহায় পারভিন বেগম ।
পারভিন বেগম আরো জানান, আমার স্বামী মোঃ মাকসুদুর রহমান তিনটি বিয়ে করেন। আমি সব সময় আতংকের মধ্যে থাকি যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে । রাতের আদারে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এনে ঘরের মধ্যে মাদকের আড্ডায় মেতে উঠে। তাকেঁ বাঁধা দিলে নেশা করে এসে নিজের সন্তানকে দা , বটি দিয়ে জবাই করতে ধরে । আমাকেও একাধিকবার মেরে ফেলতে চেয়ে ছিল। আমি বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানিও কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে একটি বেসরাকারী এনজিও সংস্থার মাঠ কর্মী হিসেবে চাকুরী করে ও তার জন্য সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি না । আমার এবং আমার সন্তানদের খোজঁ খবর না নিয়ে ভোলায় আবহাওয়া অফিস রোর্ডে তালাক প্রাপ্ত এক সন্তানের জননী কে বিয়ে করে সংসার করছে।
এ ব্যাপারে অভিযোক্ত মাকসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই । মাকসুদুর রহমানের স্ত্রী যদি আমার কাছে আসে তাহলে আমি চেষ্টা করবো সঠিক সমাধান দেওয়ার।
মাদকাসক্ত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শান্তিতে বসবাস করবে মাকসুদুর রহমান এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের ।
Posted ৫:২১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin