ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পর্যাপ্ত সড়ক বাতি না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে থাকা বেশিরভাগ সড়ক বাতিগুলোর অবস্থাই নাজেহাল। বাতিগুলোর কোনোটা টিমটিম করে জ্বলছে, কোনোটা আবার একেবারেই বিকল। কোথাও কোথাও প্রয়োজনের তুলনায় দুটিকতেক বাতি লাগানো রয়েছে। ফলে রাতের বেলা চলাচলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, আম বাগান চত্বর, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, ডায়না চত্বর, বঙ্গবন্ধু হল পুকুরপাড়, টিএসসিসি, মফিজ লেক, কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান লাইট নেই ও কিছু স্থানে লাইট থাকলেও তা নষ্ট। এতে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মোবাইলের লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদ, শহীদ মিনার ও মফিজ লেক সংলগ্ন এলাকায় লাইট নেই। শহীদ মিনারে লাইট থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায় কোনো লাইট না থাকায় রাতে নামাজের পর চলাচলে ভোগান্তির শিকার হন মুসল্লীরা। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এ সমস্যায় ভুগলেও প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ক্যাম্পাসে অধিকাংশ স্থান অন্ধকার হওয়ায় অন্ধকারে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসের সাপ ও শিয়ালের আনাগোনা রয়েছে। রাতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
ক্যাম্পাসের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোঃ সেলিম বলেন, লাইটের ব্যবস্থা না থাকায় আনসার বাহিনীর ডিউটি দিতে বাধাবিঘ্ন ঘটছে। গত এক সপ্তাহ আগে ক্যাম্পাসের যেসব গুরুত্বপূর্ণ রোডে লাইট নেই সে বিষয়ে আমরা প্রকৌশলী অফিসে নোট পাঠিয়েছি। এটি প্রসেসিং অবস্থায় আছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত এর সমাধানও হবে।
এ বিষয়ে এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নষ্ট বাতি বা এর সংস্কারের বিষয়টি দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত লাইটিং নেই, এবিষয় নিয়ে এর আগেও প্রকৌশলীর সাথে আমার কথা হয়েছে। যেহেতু দায়িত্ব আমাদেরও তাই কীভাবে এই লাইটিং সংকটের সমাধান করা যায় সেবিষয়ে আমি ওনাদের সাথে আবারও কথা বলবো।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন জানান, পুরাতন বাতিগুলো আলো কম দেয়। এছাড়াও বৃষ্টিপাত হলেই বাতির সার্কিটে সমস্যা হয় যেকারণে সেগুলো লাফালাফি করে। আমরা অকেজো বাতির সন্ধান পেলেই ঠিক করে থাকি। তবে আমাদের লোকবল সংকট থাকায় বাতিগুলো মেন্টেন্যান্সে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মফিজ লেকের কাজ চলছে। কাজ সমাপ্তি হলেই লেকের দু’পাশে ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হবে
বিথী আক্তার