
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
২০১৭ সালের পর এই প্রথমবার জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। বিষয়টি এ অঞ্চলে উত্তেজনার সঞ্চার করেছে। নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে নিভৃতিকামী কমিউনিস্ট দেশটির পরমাণু অস্ত্রের সামর্থ্য ও পরিকল্পনার বিষয়টি।
নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে সম্প্রতি নতুন আইন পাস করেছে উত্তর কোরিয়া। ওই আইনে বলা হয়েছে, নিজ প্রতিরক্ষায় পারমাণবিক অস্ত্রের হামলা চালানোর অধিকার রয়েছে তাঁদের। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আরো বলেছেন, কারো সঙ্গে তাদের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ঠিক কী ধরনের পরমাণু সক্ষমতা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার?
শেষবার উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেছিল ২০১৭ সালে। সেবার পরীক্ষার স্থানের বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল একশ থেকে তিনশ’ ৭০ কিলোটন।
১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা আণবিক বোমার চেয়ে ছয়গুণ বেশি ক্ষমতাধর একটি একশ কিলোটনের বোমা। একটিমাত্র বোমায় গোটা হিরোশিমা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, ২০১৭ সালে চালানো পরীক্ষাটি ছিল তাদের প্রথম থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র বিষয়ে। এটিকেই সবচেয়ে বেশি শক্তিধর পারমাণবিক অস্ত্র ধরা হয়।
কোথায় হচ্ছে পরীক্ষা?
এর আগে উত্তর কোরিয়ার পুঙ্গে-রি এলাকার ভূ-গর্ভে ছয়টি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে খবর আসে, পারমাণবিক সক্ষমতার পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়া সাইটটি বন্ধ করে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলকে আশ্বস্ত করতে ওই সাইটের কিছু ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে গুড়িয়েও দেওয়া হয়। তবে, এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে, জায়গাটিতে ফের পরীক্ষা বিষয়ক কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে আবার কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা হলে তা হবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশনার লঙ্ঘন।
Posted ৪:০১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin