শনিবার ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের ভাবনা ও প্রত্যাশা”

মোঃ ফরহাদ হোসেন, ডিআইইউ প্রতিনিধি   |   বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

“বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের ভাবনা ও প্রত্যাশা”

আজ ৫ অক্টোবর, বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বিশ্বের সমস্ত শিক্ষকদের অসামান্য অবদান স্বরণ করতে এই দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের প্রায় ১০০ টি দেশের সরকার ও এডুকেশনাল ইন্টারন্যাশনাল-ইআই সহ ৪০১টি শিক্ষক সংগঠন প্রতি বছর ঘটা করে দিবসটি পালন করে থাকে।

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো প্রতি বছর একটি স্লোগান প্রকাশ করে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের স্লোগান হলোঃ “শিক্ষার পরিবর্তন শুরু হয় শিক্ষকদের দিয়ে” স্লোগানটির মর্মার্থ যত দ্রুত উপলব্ধি হবে, শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার পরিবর্তন হবে তত দ্রুত।

শিক্ষকেরা হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। একজন আদর্শ মানুষ গড়তে আদর্শ শিক্ষকের কোন বিকল্প নেই। আর তাই শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাধীনতা, মর্যাদা বৃদ্ধি, আবাসন, যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ, সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষকদের ভাবনা ও প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন ফরহাদ হোসেন

“আদর্শ মানুষ গড়তে আদর্শ শিক্ষকের বিকল্প নেই”
আমাদের সমাজে শিক্ষকতা হলো একটি মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষক ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি বিশ্বকে পরিবর্তন করার সক্ষমতা রাখেন। তার সুশিক্ষাদানের ধারাবাহিকতায় সমাজ থেকে অজ্ঞতা, মূর্খতা বিতাড়িত হয়। প্রকৃতপক্ষে সুশিক্ষা আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার।

তাই শিক্ষক দিবসে প্রত্যেক শিক্ষকের ব্রত হোক জাতি গঠনে নিজেদের মেধা-মনন ও সৃজনশীলতাকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। যাতে করে একটি আলোকিত বুদ্ধিবৃত্তিক সৃজনশীল জাতি গঠন নিশ্চিত করা যায়।

আব্দুর রহিম মোল্লা,
সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

“আমার শিক্ষাগুরু”
প্রফেসর ডঃ এ এইচ এম জিহাদুল করিম, যিনি শুধু একজন উপযুক্ত শিক্ষকই নন বরং তার শিক্ষকতার জীবন হতে পারে যেকোনো শিক্ষকের উপযুক্ত শিক্ষক হওয়ার পাথেয়। তার শিক্ষকতার জীবনাদর্শ পালন করলে যেকোনো শিক্ষক হয়ে উঠবেন আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষক।

তিনি আমার পিএইচডি সুপারভাইজার হওয়াতে তার সংস্পর্শ পেয়েছি অনেক নিবিরভাবে। দেশের বাহিরে একটি ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং এ থাকা ইউনিভার্সিটির পূর্ণাঙ্গ প্রফেসর হিসেবে আমি তার জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি সেখানকার ছাত্র ছাত্রীদের কাছে “পাপা টিচার” অর্থাৎ “পিতা শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাকে ভালোবেসে “পাপা টিচার” নামে ডাকতেন।

জিহাদুল করিম স্যার নৈতিকতার সাথে কোন আপোষ করেন না কোনোদিন। তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ ছেড়ে দিয়ে বিদেশে শিক্ষকতার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ইউজিসির সম্মানিত মেম্বার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ-কে অলংকৃত করেছেন কিন্তু কোথাও তিনি কখনো তার নীতি-নৈতিকতার সাথে আপোষ করেননি।

তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেমন জনপ্রিয় এবং ভরসাস্থল তেমনি তার সহকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয় ও ভরসাস্থল। তিনি শিক্ষক হিসেবে তার দায়িত্বে কখনো অবহেলা করেননি। তার নৈতিক ও মানবিক গুণাবলীর মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

এমন একজন প্রফেসর হতে পারেন বাংলাদেশের শিক্ষকদের জন্য নিজেকে উপযুক্ত শিক্ষক হিসেবে গড়ার অনুকরণীয় আদর্শ। তাদের মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন প্রফেসরদের খুঁজে বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান পদে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বসালে বাংলাদেশ পেতে পারে কাঙ্ক্ষিত উপযুক্ত শিক্ষক। সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষা ও গবেষণা কে সামনে রেখে আগামীর বাংলাদেশ খুঁজে পাক তার উপযুক্ত শিক্ষক।

শিক্ষক দিবসে ভালো থাকুক আমাদের সকল শিক্ষা গুরু যারা আমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে পথ দেখিয়েছেন এবং শুভকামনা ভবিষ্যতের উপযুক্ত শিক্ষকদের জন্য।

ড. শামীম হামিদী
প্রভাষক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিজয়ের ছড়া
(250 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]