নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আট কলেজছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত। ২০২০ সালে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সে অভিযোগের মামলায় সোমবার সাজা প্রদান করেন ভারতের বিশেষ পকসো আদালতের বিশেষ বিচারপতি নীতেন্দ্রকুমার সিংহ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও দোষীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ হাজার রুপি করে জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদায় করা অর্থের অর্ধেক পরিমাণ নির্যাতিতাকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই বর্বরোচিত অপরাধে আট অভিযুক্ত যুবককেই দোষী সাব্যস্ত করার কথা নিশ্চিত করেছেন সরকারি কৌঁসুলি বিজয় কুমার কুশওয়াহা।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রোহিত সাইনি। বাকি সাতজন হলেন ভরত কুমার, সঞ্জয় কুশওয়াহা, ধর্মেন্দ্র সেন, মনু পারিয়া, ময়াঙ্ক শিবহারে, শৈলেন্দ্র নাথ পাঠক এবং বিপিন তিওয়ারি। তারা সবাই রাজ্যের ঝাঁসির সরকারি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র।
রোহিতের সঙ্গে নাবালিকার ডিএনএ নমুনা মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বন্ধুর সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল নাবালিকা। সে সময় তাদের জোর করে টেনে হোস্টেলের মধ্যে নিয়ে যান দোষীরা। নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং তার বন্ধুকে মারধর করেন অভিযুক্ত আট ছাত্র। ঘটনার সময় হোস্টেলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশের উপপরিদর্শক বিক্রান্ত সিংহ। মেয়েটির চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দ্রুত মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং জেলে পাঠানো হয়। তারা জামিনের আবেদন করলে আদালত সেটি খারিজ করে দেন।
Posted ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin