
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
কেনিয়ায় দুই বছর ধরে চলা নজিরবিহীন খরায় জেব্রা, হাতি ও জিরাফের মতো বন্য প্রাণী প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন-পূর্ব আফ্রিকা দেশটির বন্য প্রাণীর ওপর এমন বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন ধরনের মৃত বন্য প্রাণীর মাটিতে পড়ে থাকা দেহ বা কংকাল উত্তর কেনিয়ায় একটি সাধারণ দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে খরার কারণে পশুর খাদ্য ও পানির উৎসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে বিরল জেব্রা প্রজাতি হলো গ্রেভি। কেনিয়ার খরায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই প্রাণীটি। গ্রেভি জিরাফের প্রায় ২ শতাংশই কয়েক বছরের খরায় মারা গেছে। হাতির মৃত্যুও বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।
গ্রেভি জেব্রা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক বেলিন্ডা লো ম্যাকি জানান, এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টি না হলে এই প্রজাতির জেব্রার মৃত্যুহার বাড়বে। তিনি বলেন, যদি আসন্ন বর্ষায় বৃষ্টি কম হয় তবে গ্রেভি জেব্রা অনাহারের মুখে পড়বে।
দীর্ঘদিন পানি ছাড়া বেঁচে থাকতে পারা উটও উল্লেখযোগ্য হারে মারা পড়ছে কেনিয়ায়। এনজিও নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের পূর্ব আফ্রিকার ইমার্জেন্সি রেসপন্স ম্যানেজার সুজে ভ্যান মিগেন বলেন, ‘এই অঞ্চলের অনেক মানুষের জন্য উট একটি মূল্যবান সম্পদ। এখন কেনিয়ার মরুভূমি এ প্রাণীর মরদেহ দিয়ে পূর্ণ। ’
কেনিয়ায় টানা চার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এবারও বৃষ্টি কম হচ্ছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বর্ষার বাকি সময়ও গড়ের চেয়ে বেশি শুষ্ক অবস্থার পূর্বাভাস দিয়েছে।
বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলেও তীব্র খরা এবং মূল্যস্ফীতি কেনিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলনকর্মীরা উদ্বিগ্ন যে আরো অনেক বিপন্ন প্রজাতি খরার কারণে মারা যাবে।
Posted ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin