
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
পোশাকশিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহীকে চিঠি দিয়েছে বিজিএমইএ। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এ চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, শতভাগ রফতানিকারী হিমাধিকারভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গত ১২ সেপ্টেম্বর আপনার (ড. তৌফিক-ই-ইলাহী) সভাপতিত্বে প্রধাননন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল জ্বালানি সংকট থেকে উত্তরণের উপায় বের করা।
দেশের শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। উক্ত প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ ভিন্ন ভিন্ন দিনে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করে আসছে। বিজিএমইএতেও সাপ্তাহিক ১দিন ছুটির পরিবর্তে ২ দিন ছুটি পালন করা হচ্ছে এবং প্রত্যহিক কর্মঘণ্টা ১ঘণ্টা হ্রাস করা হয়েছে। এতে করে কিছুটা হলেও জ্বালানি বাঁচছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের চাপ কম থাকায় এবং অনিয়মিত গ্যাস সরবরাহের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সকাল ৮টার পর থেকে গ্যাসের প্রেসার কমে ‘O’ PSI-তে নেমে আসে, আবার রাত ১১টার পর কিছুটা উন্নতি হয়, যার কারণে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটছে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারি গ্যাসের অভাবে অসম অবস্থায় বসে আছে।
এতে রফতানি আদেশ অনুযায়ী লিভ টাইম মোতাবেক তৈরি পোশাক সরবরাহ করা। যাচ্ছে না। ফলে তৈরি করা পণ্য এয়ার শিপমেন্ট করতে হচ্ছে, এতে করে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠান ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসময় দেশের পোশাক খাতের রফতানির একটি চিত্রও চিঠিতে তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, ‘এ শিল্পটি অনেক বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করে আজ অত্যাধুনিক ও নিরাপদ পোশাক উৎপাদনের সবুজ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশ আসে এ খাত থেকে। এ খাতে গত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ১২.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪২.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্জন হয়। আগামী ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে বিজিএমইএ কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং রফতানি প্রবৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখতে জরুরিভিত্তিতে এ খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা আবশ্যক।’
এমতাবস্থায়, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন অব্যাহত রাখা তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে জরুরীভিত্তিতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
Posted ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin