শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাজারে শীতকালীন সবজি, দাম কিছুটা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

বাজারে শীতকালীন সবজি, দাম কিছুটা বেশি

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কয়েক ধরনের শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। তবে দাম কিছুটা বাড়তি। একই সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দাম। অন্য সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত।

শুক্রবার উত্তরার আজমপুর কাঁচা বাজার, এয়ারপোর্ট মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, রামপুরা বাজার এবং সায়েদাবাদ ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজারে শীকালীন সবজি আকার ভেদে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা ও বেগুনসহ অন্যান্য সবজি বিক্রি হচ্ছে। দুই ধরনের কপি আকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, লম্বা ও বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সিমের দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, করলা ৮০, চাল কুমড়া পিস ৬০, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।

বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৫০, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল মিয়া বলেন, শীত না এলেও শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। দামও বেশি। সবজির সরবরাহ বাজারে কম থাকায় দাম বাড়তি।

সবজি ছাড়াও বাজারে আলুর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে পেঁয়াজের দাম, বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১০০। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।

রামপুরা বাজারে চালের দাম এখনও বাড়তি। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়, বিআর ২৮ চালের দাম দুই টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০, মিনিকেট কেজি ৬৮ থেকে ৭০, মান ভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়।

চাল বিক্রেতা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, দুয়েক ধরনের চালের দাম অবশ্য কমেছে। কিন্তু বাকিসব বাড়তির দিকেই। আশা করছি খুব দ্রুতই কমে যাবে।

বাজারগুলোয় ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। হাঁসের ডিমের ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার মুরগির ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সায়েদাবাদ বাজারের মুরগি বিক্রেতা ইয়াসিন মিয়া বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের অজুহাতের শেষ নেই। একেক সময় একেক কারণে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন বলছে উৎপাদন কম, যে কারণে দাম বেড়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৮:১১ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]