
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
ভারতের আসাম রাজ্যের কাছাড় জেলার ঘটনা। সিনেমা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি হচ্ছিল কিশোরীর। সঞ্জয় তেলি নামে এক যুবকের সঙ্গে শিলচর শহরে মেয়ে পূজা দেখতে গেছে বলে পরিবারের লোকজন অন্যদের কাছ থেকে শুনেছে।
মেয়েকে খুঁজতে বাইরে বের হওয়া বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। তার গায়ে একটা কাপড় জড়ানো। পরিবারের সদস্যরা জানান, মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতেই রক্তমাখা হাতে লিখে জানায়, মহাষ্টমীর রাতে সঞ্জয় তাকে ধর্ষণ করেছে। তার পর ছুরি দিয়ে তার গলার অনেকটা কেটে দেয়। গলগল করে রক্ত বের হচ্ছিল। আর কিছু মনে নেই তার।
কিশোরী আরো লেখে, নবমীর দিন সকালে আমার জ্ঞান ফেরে। দেখি আমি বস্তাবন্দি। চিৎকার করতে চেয়েছি, গলা দিয়ে আওয়াজ বের হয়নি। চেষ্টা করেছি আঙুল বের করে বস্তা ছেঁড়ার। দাঁত দিয়েও কেটেছি খানিকটা। পরে কোনো রকমে হাত বের করি। বস্তার মুখ খুলে বেরিয়ে আসি।
গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক মেয়েটির অবস্থা দেখেই তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, মেয়েটির গলায় একবার অস্ত্রোপচার হয়েছে। তরল খাবার টিউবের সাহায্যে খাওয়ানো হচ্ছে তাকে। ধর্ষণের তদন্তে নমুনা সংগ্রহ করে মুম্বাইয়ে পাঠানো হয়েছে। দুই-তিন দিনে তার রিপোর্ট আসার কথা।
পুলিশ মেয়েটির লেখা পড়ে সঞ্জয় তেলিকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক দোষ স্বীকার করেছে। চা বাগানের ঘন জঙ্গলে ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। কাছেই পড়েছিল বস্তাটি। তার মধ্যেই ছিল কিশোরীর পোশাক। কাছাড়ের বিভিন্ন সংস্থা এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে সরব হয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার।
Posted ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin