
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১০ দিনের ছুটি শেষে গতকাল সোমবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পূজার ছুটি পেয়ে তাঁরা আনন্দের সঙ্গে বাড়িতে ফেরেন; কিন্তু ক্যাম্পাসে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মোটরসাইকেল ও অস্ত্রের মহড়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সময়মতো খুলবে কি না, এ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা বলেন, ‘বন্ধের পর ক্যাম্পাসে ফিরে খুবই ভালো লাগছে। শঙ্কায় ছিলাম যে এমন পরিস্থিতির কারণে সময়মতো ক্যাম্পাস খুলবে কি না বা ক্লাস শুরু হবে কি না; কিন্তু এখন ক্যাম্পাস সময়মতো খুলেছে; ক্লাসও ঠিকমতো শুরু হয়েছে। আশা রাখব, পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে ও আমরা সুষ্ঠুভাবে ক্লাস চালিয়ে যেতে পারি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়টা বুঝতেছি না। ক্যাম্পাস খোলা রাখতে পারলে পরীক্ষা নেওয়ায় তো কোনো সমস্যা দেখছি না। এভাবে কিছুদিন পর পর ক্যাম্পাসে সমস্যা হবে আর তার ভুক্তভোগী হবো আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনিতে করোনা আমাদের অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন করেছে; তার ওপর বাড়তি ঝামেলা।
ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল মঈন বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সে জন্য আমাদের প্রথম কাজ ছিল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া। সে জন্যই আমরা একটা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ফলে ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল এই কয় দিন। এ কারণেই আমরা ক্যাম্পাস সময়মতো খুলে দিতে পেরেছি।’
পরীক্ষা স্থগিত রাখার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস যদি না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা সেখানে কী করে প্রিপারেশন নেবে। আর এই পরিস্থিতির কারণে অনেক অভিভাবক শঙ্কায় তাঁদের সন্তানদের পাঠাতেও চাইবেন না। তা ছাড়া ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই কিন্তু আসেও না। তাই সবার কথা চিন্তা করেই আমরা প্রথম সপ্তাহ পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি। এই সিদ্ধান্তে সবাই সমর্থনও জানিয়েছেন।
Posted ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin