বুধবার ২৯শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কয়েক দিন বন্ধ থেকে ফের গোলাগুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

কয়েক দিন বন্ধ থেকে ফের গোলাগুলি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ এখনো চলছে। বাংলাদেশ সীমান্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, কয়েক দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে এবং এর আগে এত ভারী গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যায়নি। এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।

গতকাল সোমবার সীমান্ত পরিদর্শনে এসে রেজুপাড়া ফাতরাবিজি বিওপিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারকে কূটনৈতিকভাবে চিঠিও দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে চিঠির জবাবও এসেছে। এসব সংরক্ষণে রাখা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

 

এদিকে সোমবার ভোররাত থেকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু, উখিয়ার পালংখালী আনজুমানপাড়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত থেকে আবারও গুলি, মর্টার শেল ও হেলিকপ্টারের শব্দ শোনা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। পরে সকাল পর্যন্ত অনবরত গুলি, মর্টার শেল ও বোমার শব্দ শোনা গেছে। এর আগে এ সীমান্তে এত ভারী আওয়াজ শোনা যায়নি। আর এই বিস্ফোরণের শব্দে তাঁর পাকা বাড়ি পর্যন্ত কেঁপে উঠেছে বলে জানান তিনি।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই যায়েদ হাসান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বোমা ও মর্টারের বিকট শব্দে প্রথম দিকে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারণ এর আগে এত ভারী শব্দ শোনেনি এখানকার লোকজন। এ সময় সীমান্তবর্তী স্থানীয়দের ঘরের বাইরে বের হতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়।

 

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টারের শব্দ বন্ধ ছিল, বিশেষ করে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা গোলাগুলির আওয়াজ শোনেনি গত দুই সপ্তাহ। একইভাবে উখিয়ার পালংখালীর আনজুমান পাড়া ও হোয়াইক্যং সীমান্তেও গোলাগুলির শব্দ বন্ধ ছিল। গতকাল ভোর থেকেই আবার এসব শব্দ পেতে থাকে তারা।

তুমব্রু বাজার শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি স্কুল শিক্ষক রূপলা ধর বলেন, ‘এত দিন কোনো ধরনের গুলি ও মর্টারের শব্দ ছাড়াই আমরা দিন পার করছিলাম; এমনকি আমাদের পূজার সময়ও কোনো আতঙ্ক ছাড়াই উত্সব পালন করেছি। তবে আজকে থেকে যেভাবে মর্টার ও হেলিকপ্টার থেকে বোমা নিক্ষেপের বিকট শব্দ শোনা গেছে তাতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]