রবিবার ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

আজ বিশ্ব ডিম দিবস

১৪ অক্টোবর, আজ বিশ্ব ডিম দিবস। অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এদিন বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ডিম প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিমের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে। ফলে ভোক্তাদের মধ্যে ডিম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার প্রথম বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন করা হয়। ডিম দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে -‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালন করা হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি যৌথ উদ্যোগে ডিম দিবসে নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) থেকে জানানো হয়েছে, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সেমিনার, ডিমের পুষ্টিগুণ বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিদ্যালয় ও এতিমখানায় ডিম বিতরণ, সারাদেশে পোষ্টার বিতরণ প্রভৃতি কর্মসূচী পালন করা হবে।

ডিমের পুষ্টিগুণ একটি সম্পূর্ণ ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম মানসম্মত প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। ডিমের প্রোটিনে রয়েছে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যা দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে সহায়ক।

ডিমের ফ্যাটি এসিডে এলডিএলের চেয়ে এইচডিএল এর অনুপাত বেশি। ফলে নিয়মিত ডিম খেলে রক্তে এইচডিএলের অনুপাত বাড়ে যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের উপস্থিতি হ্রাস করতে সহায়ক। স্কাভেঞ্জিং পদ্ধতিতে পালিত মুরগির ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বেশি থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডিমের কোলিন মস্তিস্ক কোষ গঠন ও সিগন্যালিং সিস্টেমে কাজ করে মানুষের স্মরণশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ডিমে লিউটিন ও জেক্সানথিন রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।

বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ সালে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ৭৬১.৭৪ কোটি এবং ২০২১-২২ সালে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৩৫.৩৫ কোটিতে। অর্থাৎ গত দশ বছরে বাংলাদেশে ডিমের উৎপাদন তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রতি বছরে ১০৪ টি ডিম হারে বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা ১৩৬.০১টি।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ বাস্তবায়নে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ২৭০মিলি, ১৫০গ্রাম এবং ১৬৫টি বছরে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০৪১ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিম যথাক্রমে ৩০০মিলি, ১৬০গ্রাম এবং ২০৮টি বছরে ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ডিম উৎপাদনের একটি প্রাক্কলন করেছে। সে হিসাব অনুযায়ী ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন হবে প্রায় ৩২৯৩.৪ কোটি এবং ২০৪১ সাল নাগাদ ৪৬৪৮.৮ কোটি।

ডিমকে বিশ্বে একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য আমিষজাতীয় খাদ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি) স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। বর্তমানে এই সংস্থার সদস্যসংখ্যা ৮০। সংস্থাটি প্রাণিজ আমিষের চাহদিা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন এবং সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় প্রথম ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালনের আয়োজন করে, যা পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার পালিত হয়ে আসছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

(177 বার পঠিত)
(164 বার পঠিত)
advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]