
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
কক্সবাজার শহরে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার কটেজ জোন এলাকার গণপূর্তের সৈকত সমবায় সমিতির প্লটে এ অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর অব নুরুল আবছারের নেতৃত্বে দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (উপ-সচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর রাশেদসহ অভিযানে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও বিদ্যুৎ বিভাগ ছিল । এক সপ্তাহ আগেও সৈকতের কটেজ জোনে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর (অব) নুরুল আবছার সাংবাদিকদের জানান, ১৯৯৬ সালে ৭ দশমিক ৫০ একর জমি সৈকত সমবায় সমিতির নামে বরাদ্দ দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তবে পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ৭ দশমিক ৫০ একরের পরিবর্তে ৫ একর জমি বরাদ্দ দিয়ে সংশোধিত বরাদ্দপত্র জারি করে।
সে সময় সৈকত সমবায় সমিতি সংশোধিত বরাদ্দপত্র মেনে নিলেও হাইকোর্টে আরো আড়াই একর জমি পাওয়ার জন্য রিট করে। পরে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করলেও ২০১৯ সালে তা খারিজ হয়। ফলে বিতর্কিত ২ দশমিক ৫০ একর জায়গার উপর সৈকত সমিতির অধিকার না থাকায় আদালত উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অভিযান চালায়।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, পরিকল্পিত পর্যটন নগরী বাস্তবায়ন, আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করে এবং অনুমোদন নিয়ে ভবন নির্মাণ করুন। কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে বাস্তবায়নে অবৈধ এবং অনুমোদনহীন স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Posted ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin