করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৭৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৫১১ জনে পৌঁছেছে।

একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৪০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৭৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৩ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬০ জনে দাঁড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসের শুরু থেকে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে মঙ্গলবার সকালের দিকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে তাইওয়ানে। এ সময়ের দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৮৪৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ ১২ হাজার ৭৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ হাজার ৯৬১ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১২ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪২১ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৪০৩ জন এবং মারা গেছেন ৯২ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৫১ জন এবং মারা গেছেন ৮২ জন।

জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৭২ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৪০ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন।

আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২৬ জন।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩০ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন। একই সময়ে ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।