
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া একটি খালি কনটেইনারে গত ১৪ অক্টোবর একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর আগেও একইভাবে বন্দর থেকে কনটেইনারে করে সিঙ্গাপুর, ভারতে যাওয়ার অন্তত পাঁচটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বন্দরের নিরাপত্তা জোরদারের সুপারিশও করে। কিন্তু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বন্দর ব্যবহারকারী, বার্থ অপারেটর ও শিপিং লাইনের অন্তত আট কর্মকর্তার সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের ধারণা, বন্দর কর্মকর্তাদের গাফিলতির সুযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তি (মালয়েশিয়ায় উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ) ডিপো থেকে খালি কনটেইনারে লুকিয়ে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকা।
ঢুকে থাকতে পারেন। এ ছাড়া ইয়ার্ড, জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কেউ সুযোগ বুঝে খালি কনটেইনারে উঠে থাকতে পারেন। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর খালি বা পণ্যভর্তি রপ্তানি কনটেইনার প্রবেশ করার কিছু নিয়ম আছে। রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার ডিপো থেকে আসার পর বন্দরে প্রবেশের আগে স্ক্যান করা বাধ্যতামূলক। আর খালি কনটেইনার বন্দরে প্রবেশের সময় সেটির একটি দরজা খোলা রেখেই প্রবেশ করাতে হয়। উদ্দেশ্য ভেতরে অবৈধ কিছু প্রবেশ করছে কি না, তা জানা। কনটেইনার প্রবেশের আগে বন্দরের ফটকে নিয়োজিত নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীদের সেটি তল্লাশি করে দেখার নিয়ম আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফটক দিয়ে সেই কনটেইনার তল্লাশি করা হয়েছিল কি না। বন্দরের নিজস্ব সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সেটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও কেউ ধরেননি। পরে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ঘাটতি নেই। খালি কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকেই গেছে—এমন অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে কারো কাছ থেকে পাইনি। পেনাং বন্দর থেকে এমন অভিযোগ পেলেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এর আগে পত্রিকার খবর দেখে আমরা অভ্যন্তরীণ খোঁজখবর নিচ্ছি যে কী ঘটনা ঘটেছে। ’
ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, ডিপো বা চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো এক জায়গায় নিরাপত্তা ঘাটতি বা দুর্বলতা আছেই। তা না হলে বারবার এ রকম ঘটনা ঘটত না। এসব ঘটনায় বিশ্ব শিপিং বাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এখন সময় এসেছে সব পক্ষ মিলে ঘাটতি খুঁজে বের করা এবং দ্রুত এর স্থায়ী সমাধান করা।
Posted ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin