
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
মিয়ানমারের বিমান বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী চীন থেকে বেশ কয়েকটি এফটিসি-২০০জি যুদ্ধবিমান অর্ডার করেছিল। এজন্য বিমানবাহিনীর ৮ জন পাইলট, ৮ জন প্রযুক্তিবিদ এবং দুইজন সামরিক কর্মকর্তার একটি দল জুন মাসে কুনমিং হয়ে চীনে গিয়েছিল। খবর ইরাবতীর।
খবরে বলা হয়েছে, চীনে সে সময় করোনার কঠোর বিধি-নিষেধ জারি ছিল। এ কারণে কুনমিং এ মিয়ানমারের কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। এই দলের পাইলটরা এফ-৭, এ-৫ এবং কে-৮ ডাব্লিউ বিমান চালনায় পারদর্শী।
ক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন যুদ্ধবিমানগুলো মিয়ানমার বিমান বাহিনীর পুরোনো এফ-৭ এবং এ-৫ বিমানের পরিবর্তে নেয়া হচ্ছে এবং নতুন বিমানগুলো শান রাজ্যের নামসাং এয়ারবেসে রাখা হতে পারে।
বেইজিং ও নেপিদোর মধ্যে কবে চুক্তি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালে এই চুত্তি সম্পাদিত হয় কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বিতরণ এবং পাইলট প্রশিক্ষণ বিলম্বিত হয়েছে।
এফটিসি-২০০জি একটি উন্নত হালকা মাল্টি-রোল প্রশিক্ষক/যুদ্ধ বিমান। এটি চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থা এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না এর তত্ত্বাবধানে গুইঝো এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন তৈরি করেছে। দুই আসনবিশিষ্ট যুদ্ধবিমানটির আক্রমণ ও যুদ্ধের সক্ষমতাসহ প্রশিক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে। জানা যায়, এক একটি যুদ্ধবিমানের দাম ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার।
২০২০ সালের এপ্রিলে, কম্বোডিয়ায় এবং চীনের গ্লোবাল টাইমস এ প্রকাশিত একটি খবরে জানা যায়, চীন একটি অপ্রকাশিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশে বিমানটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। তবে কয়টি ইউনিট বিক্রি করা হবে তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং বিতরণ ২০২১ সালের শুরুর দিকে শুরু হবে এবং দুই বছর পরে শেষ হবে।
প্রতিবেদনে কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারকে সম্ভাব্য ক্রেতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ উভয় দেশই সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত।
Posted ২:৫০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin