
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
নেই কোনো প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা। তারপরেও নৌ-ভ্রমণের ভালো লাগা থেকে শখের বসে নিজের প্রতিভা গুণে মাত্র দুই মাসের প্রচেষ্টায় তিনি নির্মাণ করেছেন লঞ্চ। স্টিল, কাঠ ও ফোমের ব্যবহার করে নির্মাণ করা লঞ্চটি বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানিক কিংবা হাতে কলমে এ কাজ না শিখেও নিজের মেধায় দুর্গম চরাঞ্চলের একজন সামান্য শ্রমিকের নির্মাণ করা লঞ্চটি দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত মানুষ। তবে এ লঞ্চটি যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা না হলেও এটি মটারের সাহায্যে নদীতে চলাচল করতে পারে। বরিশাল জেলার নদী বেষ্টিত মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউপির দুর্গম পাতারচর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের ছেলে আবু ইউসুফ হাওলাদারের নির্মাণ করা এ লঞ্চটির নামকরণ করা হয়েছে, এমভি শখ-১।
বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচল করা বিলাসবহুল লঞ্চের ন্যায় মের্সাস আবু ইউসুফ স্যানেটারি মার্টের নির্মাণ করা এমভি শখ নামের লঞ্চের চারপাশে লেখা হয়েছে নদী পথে শান্তির নীড়, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত, জাহাজের গায়ে নৌকা ভেড়ানো নিষেধসহ নানা স্লোগান।
ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ছোট বেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার সময় চারুকারু পরীক্ষায় লঞ্চের ছবি অঙ্কন করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছি। পরবর্তীতে স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই সংসারের দায়িত্ব পরে কাঁধে।
তিনি বলেন, নদী বেষ্টিত এলাকায় জন্মগ্রহণ করায় অসংখ্যবার তাকে লঞ্চে যাতায়াত করতে হয়েছে। যাতায়াতের সূত্রধরেই লঞ্চের প্রতি তার একটা ভালো লাগা তৈরি হয়। অতঃপর নিজের ভালো লাগাকে পূর্ণ রুপ দেওয়ার জন্য প্রতিকী হিসেবে ৪৪ ইঞ্চি লম্বার এ লঞ্চটি তিনি নির্মাণ করেছেন।
পেশায় স্যানেটারি মিস্ত্রী আবু ইউসুফ আরো বলেন, চরপদ্মা মাদরাসারহাটে স্যানেটারির দোকানে বসে কাজের ফাঁকে গত দুই মাসের প্রচেষ্টায় স্টিল, কাঠ ও ফোম ব্যবহার করে প্রথমে লঞ্চটি তৈরি করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে লঞ্চের রং থেকে শুরু করে বর্তমানে বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুসা হিমু মুন্সী বলেন, ইউসুফ হাওলাদারের নির্মাণ করা লঞ্চটি দেখে মনে হচ্ছে কোনো পেশাদার ডিজাইনার এ লঞ্চটির ডিজাইন করেছেন। এছাড়াও লঞ্চটির কারুকার্য সত্যিই প্রশংসনীয়।
Posted ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin