
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
দায়িত্ব নিয়েই সুইডেনের নবনির্বাচিত সরকার অভিবাসন নীতিমালায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। দেশটিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সুইডিশ ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে নিয়মনীতি। এ অবস্থায় শঙ্কিত সুইডেনে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
গত সপ্তাহে সুইডেনে পার্লামেন্টের ৩৪৯টি আসনের মধ্যে ১৭৬টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে দেশটির ডানপন্থিদের জোট। এতে মডারেট, ক্রিস্ট ডেমোক্রেট ও লিবারেল পার্টির সমন্বয়ে গঠিত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ডানপন্থি জোট নেতা উলফ ক্রিস্টারসন। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নামও।
ক্ষমতায় এসেই সুইডেনের নবনির্বাচিত সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগসহ নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে শুরু থেকেই জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে নানা ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। জোটের অন্যতম শরিক দল অভিবাসনবিরোধী হিসেবে পরিচিত ‘সুইডেন ডেমোক্র্যাট’ এবারের নির্বাচনে ক্রিস্টারসন সরকারকে পরোক্ষ সমর্থন দেয়ায় নানাভাবে প্রভাবিত করার সুযোগ থাকছে দলটির হাতে।
তবে জোটের দলগুলোর মধ্যেই অভিবাসনে কড়াকড়ি আরোপের আলোচনা হয়েছে। এতে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে সুইডিশ ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে আরো কঠোর হতে যাচ্ছে নিয়মনীতি। এ ছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দেশটির নতুন সরকার। এ অবস্থায় শঙ্কিত সুইডেনে বসবাসের অনুমতিপ্রত্যাশী অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
জোট সরকারের দলগুলোতে এমন মতবিরোধে অনেক আইন বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নির্বাচনের আগে, অভিবাসন নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছিলেন সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
Posted ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin