
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩-এর ৬ ধারায় বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসাবে কোনো জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
কিন্তু চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রায় অর্ধশত ভাটায় ইট তৈরি হয় কাঠ পুড়িয়ে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের ‘এবি ব্রিকস’সহ কয়েকটি ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ জড়ো করতে দেখা গেছে।
ইটভাটা আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী, আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা; সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি; কৃষিজমি, প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা এবং ডিগ্রেডেড এয়ারশেড এলাকায় ভাটা স্থাপন করা যাবে না।
অথচ ফটিকছড়ির পাইন্দং ইউনিয়নে বনের পাশেই ‘এসবি ব্রিকস’ এবং ‘এএমবি ব্রিকস’ নামের দুটি ইটভাটা রয়েছে। সেগুলোতে ইট পোড়ানোর প্রস্তুতির কাজ চলছে।
ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুটি পৌরসভা এবং ১৯টি ইউনিয়নে এবার ৪৭টি ভাটায় ইট তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে ১৫ দিন আগে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪২। কেননা গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় পাঁচটি ইটভাটা ভেঙে দিয়েছিল প্রশাসন। সেগুলোও চলতি মৌসুমে ইট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে সুয়াবিল ইউনিয়নের ‘জারিয়া ব্রিকস’ এবং নানুপুর ইউনিয়নের ‘কেবিএম ব্রিকস’ অন্যতম।
সম্প্রতি সরেজমিনে উপজেলার পাইন্দং, সুয়াবিল, রাঙ্গামাটিয়া ও হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ইটভাটায় শ্রমিকদের ভাটা পরিষ্কারের কাজে ব্যস্ত দেখা গেছে। কিছু কিছু ভাটায় ইট পোড়ানোর উপকরণ হিসেবে এরই মধ্যে কাঠ স্তূপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ফটিকছড়ি পৌরসভার রাঙ্গামাটিয়া ও নাজিরহাট পৌরসভার মন্দাকিনী এবং উপজেলার নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, নানুপুর, খিরাম ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নে অন্যান্য ইটভাটা রয়েছে বলে সমিতি সূত্রে জানা গেছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এসব ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হবে।
Posted ৭:১২ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin