
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, যদিও এ বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল পূর্বাভাস সংস্থাগুলো। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে। দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। বদলে গেছে আকাশ। ভারি মেঘ সাতসকালেই বদলে গেছে; নিমেষে নেমে এসেছে রাতের অন্ধকার!
এর আগে রোববারও (২৩ অক্টোবর) গুমট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। সিত্রাংয়ের ভয়াবহতার খবরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কেটেছে জেলাবাসীর।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জরুরি সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ উপজেলায় সাতটিসহ জেলায় মোট ৮টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভবন প্রস্তুত থাকবে। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তাকে নিজ নিজ দফতরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চর ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আনা ও সর্তকসংকেত প্রচারের জন্য জেলার ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রেখেছেন। সর্তকসংকেত বাড়লে তারা কাজ শুরু করবেন।
এছাড়া পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন দুর্গত এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায়। সাইক্লোন সেলটারে আশ্রিতদের জন্য শুকনো খাবার সংগ্রহে রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জরুরি ওষুধসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম, প্রাণিসম্পদ বিভাগের ২৩টি ভেটেনারি টিম প্রস্তুত রেখেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
সাগরকূলের চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানান, জোয়ারের পানি কিছুটা বাড়লেও কোনো ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়নি। আবহাওয়া অধিদফতরের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করার জনবল প্রস্তুত রয়েছে।
Posted ৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin