
নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামা আব্দুল খালেককে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ভাগ্নে মজিরুল আকনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
রোববার উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাচেন আলী হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল খালেকের সঙ্গে তার সৎবোনের ছেলে মজিরুল আকনের সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। রোববার সকালে আব্দুল খালেক বাসা থেকে হাঁটতে বের হন। এ সময় উপজেলার এলজিইডি ব্রিজের সামনে থেকে তাকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে জোর করে তুলে নিয়ে যান ভাগ্নে মজিরুল আকন।
পরে ভবানীপুর গ্রামের আ. বারেক ফকিরের বাড়ির সামনে হক ব্রিজের কাছে নামিয়ে নির্জন এলাকায় আব্দুল বারেক মাস্টারের বাড়ির সামনের একটি ডোবার পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় জোছনা বেগম ঘটনাটি দেখতে পেয়ে মজিরুলকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কী কর? সে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য পানিতে মোবাইল পড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখায়। ওই সময় নিহত আব্দুল খালেকের পা ভেসে উঠলে চিৎকার করেন জোছনা বেগম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা মজিরুলকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। মজিরুলের আঘাতে সোহাগ ও মাস্টার ফারুক আহত হন।
নিহতের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, মজিরুল ১০ বছর পূর্বে আমার বাবকে মারধর করেছিলেন। এরপর আমার বাবা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। রোববার সকালে আমার বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছেন তিনি। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
ইন্দুরকানী থানার ওসি এনামুল হক বলেন, আমরা অভিযুক্তকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাচান জানান, অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হবে।
Posted ৭:০১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin