
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে ভারি বৃষ্টিপাতে বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ায় অর্ধশতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে সড়ক-মহাসড়কে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যদিও এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়কে পড়ে যাওয়া গাছ সরানো কাজ শুরু করেছেন। অনেক এলাকাতে বিদ্যুতের তারের লাইন ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রাত থেকেই কাজ শুরু করেন। তবুও থামেনি নগরজীবন।
এদিকে মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূল অতিক্রম করায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঢাকার আকাশে এই মেঘ এই রোদ্দুর খেলা করছে। তবে ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে।
সোমবার সকাল, দুপুর আর সন্ধ্যা গড়িয়ে দিন শেষে রাত ও মধ্যরাতেও রাজধানীজুড়ে ছিল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব। একটানা বৃষ্টি, দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় বিপর্যস্ত ছিল নগরজীবন। এ ছাড়া রাজধানীর হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডে একটি টিনশেড বাড়ির দেয়ালধসে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হন সীমা বেগম নামে এক রিকশা আরোহী।
সোমবার দিনশেষে রাতেও টানা বৃষ্টিপাতে সড়কে পানি জমায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার পর যখন মুষলধারে বৃষ্টি, বিকেল গড়িয়ে রাতেও তা অঝোরধারায়। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর শান্তিনগর, নয়াপল্টন, রাজারবাগ, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও রাস্তায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কোথাও কোথাও হাঁটুপানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা যায় ফুটপাতও। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও সড়কে পানি জমে থাকায় বিপাকে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ।
জলাবদ্ধতা আর বৃষ্টিতে রাজধানীতে সৃষ্টি হয় যানজট। এতেই যেন স্থবির জনজীবন। গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগার পাশাপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
ঢাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঘণ্টায় ৩২ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এমন তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।
Posted ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin