
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
পটুয়াখালীর খেপুপাড়া-কলাপাড়া উপকূলের দিকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় উপকূলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে যাওয়া মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে বৃষ্টিপাত হয়নি। গতকাল দিন ভর অবিরাম ভারি বৃষ্টিপাত হলেও রাত ১১টার পরে দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকলেও কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাতে জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল। এতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর। আমনের কিছুটা ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা করছে কৃষি বিভাগ। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানাতে পারেনি কন্ট্রোল রুম ও কৃষি বিভাগ। দমকা হাওয়ায় কিছু কাচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে ক্ষয় ক্ষতি হলেও তার হিসাব এখনও জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোল রুম থেকে জানাযায়, জেলার ৮ উপজেলায় মোট ৭২ হাজার ৩০৯ জন মানুষ ও তাদের ৬ হাজার ৭৮৩টি গবাদীপশু আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, সকালে আবহাওয়া ভালো হওয়ার সাথে সাথে পানি নামতে শুরু করে। এর পরই আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষেরা তাদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সুরডুগী গ্রামের মেনাজ বেপারীর স্ত্রী রাশেদা বেগম (৬০) বাড়িতে পুকুর পাড়ে হাত পা ধুতে গেলে গাছের ডাল পড়ে আহত হলে তাকে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। এছাড়া বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। যেহেতু বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে সেহেতু ক্ষয়-ক্ষতি কৃষি ও মৎস্য খাতে কিছুটা হয়েছে তবে সেগুলো নিরুপণের কাজ চলছে। আমরা দ্রুতই প্রতিবেদন দিয়ে দিব।
Posted ৪:০৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin