
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্ক কেটেছে। ভয়ংকর উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তায় ঘেরা দুর্বিষহ একটি রাতের স্মৃতিকে পেছনে ফেলে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ে ঘরে ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের আলো ফোটার আগেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ঘরের পানে ছুটছেন তারা।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) ঝড়ের তাণ্ডব শুরুর আগেই ঘরের শিশু-নারী ও বয়স্করা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার কছমআলী ইউনিয়নের বাসিন্দা ৭০ বছরের বৃদ্ধ ফুল মিয়া। স্বাধীনতার আগের প্রলয়ঙ্ককরী দুটি বন্যায় হারিয়েছে মা-বাবা-দাদা-দাদিসহ পরিবারের সবাইকে। দেখেছেন সিডর আইলার বিধ্বংসী রূপ। আর তাই এবার আর ভুল করেননি তিনি। সিত্রাং আগ্রাসীরূপ শুরুর আগেই দুই, ছেলে, ছেলের বউ, নাতি-নাতনি ও স্ত্রীকে নিয়ে ছোটেন আশ্রয়কেন্দ্রে।
বৃদ্ধ ফুল মিয়া বলেন, ভয়ংকর গতিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। খুব ভয় পেয়েছিলাম। ছোট ছোট শিশুদের নিয়েও আতঙ্কে ছিলাম। তাই সবার নিরাপদের কথা ভেবে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই।
ভুক্তভোগীরা জানান, যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণের জনপদ সাগরকন্যা কুয়াকাটার মানুষ থাকেন সব থেকে আতঙ্কে। এই জনপদের মানুষের এখনো কাটেনি আইলা কিংবা সিডরের ক্ষত। আগের আতঙ্ক থেকেই এবার আর ভুল করেননি কেউ। দীর্ঘ সময় আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরে সন্তুষ্ট মানুষজন। তবে জোয়ারের পানি ও ঝোড়ো বাতাসে পুকুরের মাছ আর গাছ ভেঙে কিছুটা ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আগেও অনেক ঘূর্ণিঝড় হয়েছে; তখন আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই এবার আগেই ভয়ে কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।
ঘূর্ণিঝড়ের শুরু থেকেই স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন ছিলেন জনগণের পাশে। প্রশাসনও পেয়েছে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা।
স্বেচ্ছাসেবক এক যুবক জানান, কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেন। তাদের প্রয়োজনমতো খাবার ও অন্যান্য সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে উপকূলের কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারান।
Posted ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin