
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব থেকে বাংলাদেশ বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে অধিদফতরে সিত্রাং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এর উপ-পরিচালক সানাউল হক মণ্ডল।
এর কিছুক্ষণ আগে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান সিত্রাং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, স্থল ও জলসীমা মিলিয়ে বাংলাদেশে মোট ১৫ ঘণ্টা অবস্থান করে ঘূূর্ণিঝড়টি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূলীয় জেলাসহ দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৩২৪ মিলিমিটার আর ঢাকায় ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বৃষ্টিহীন ছিল দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া।
তিনি আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরে আবারও নতুন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আছে। এক্ষেত্রে সবাইকে সর্তক ও প্রস্তুত থাকতে হবে।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে (১২ নম্বর) জানানো হয়, উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে সিত্রাং স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ার কথা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অতিদ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এতে আরও বলা হয়, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার রাতে কুমিল্লায় তিনজন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল ও বরগুনায় একজন করে মোট ৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
Posted ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin