বৃহস্পতিবার ৮ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এশীয় পদ্ধতিতে করুন: চীনা রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক:   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এশীয় পদ্ধতিতে করুন: চীনা রাষ্ট্রদূত

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বেইজিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হল এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পশ্চিমা পরামর্শে কান না দিয়ে ‘এশীয় উপায়ে’ সব আঞ্চলিক বিরোধের সমাধান করা। আমরা (চীন) বিশ্বাস করি, আমাদের আঞ্চলিক সমস্যাগুলো এশীয় পদ্ধতিতে সমাধান করা উচিত। ইউরোপীয় মানের পদ্ধতি এখানে অনুশীলনের মাধ্যমে নয়।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং বঙ্গোপসাগরকে ভারী অস্ত্র-সজ্জিত হিসেবে দেখতে পছন্দ করে না এবং আশা করে যে, এখানকার সব আঞ্চলিক দেশ এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সব অংশীজনদের একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা উচিত। কিছু দেশ (বর্তমানে) ইউরোপে যেভাবে কাজ করছে সেভাবে কাজ করা উচিত নয়।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভারতের সঙ্গে চীনের কোনো কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা বৈরিতা নেই। আমরা আশা করি, এক বিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন এবং ভারত উভয়েই অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বেইজিং বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি এমনকি অটোমোবাইল তৈরির মতো উচ্চ পর্যায়ের শিল্পায়নে যেতে প্রস্তুত। অবকাঠামো আছে, পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে, অভ্যন্তরীণ বাজার অনেকখানি উন্নত হয়েছে। সমুদ্র বন্দরসহ সবকিছু বাংলাদেশে উচ্চ পর্যায়ের শিল্পায়নের জন্য প্রস্তুত। চীনও এই লক্ষ্য অর্জনে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।

রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, সংকটর টেকসই সমাধানে বেইজিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা।তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে যেতে হবে। মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গারা যেন তাদের আদিভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে নেপিদো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ।

তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইতিবাচক। তবে বর্তমানে তারা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রাখাইন রাজ্যে বর্তমান সংঘাত নিয়ন্ত্রণের জন্য অপেক্ষা করছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা মোকাবিলা করার জন্য আমরা বাংলাদেশের প্রশংসা করি। তিনি ঋণ ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনা ঋণের ফাঁদ নেই। বিশ্বব্যাপী কোনো চীনা ঋণের ফাঁদ নেই। তার দেশ দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে কাজ করছে, যা বর্তমানে মূলত চীনের পক্ষে।

অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]