
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
উদ্যোক্তা নীগার জাহান খন্দকার সিন্ধু। তবে ফেসবুকে সবাই তাকে সিন্ধু নীগার নামেই চেনে। তার উদ্যোগের নামও সিন্ধু। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। স্নাতকোত্তরের পর থেকেই চাকরি করছেন শিল্প মনোবিজ্ঞানী হিসেবে। মায়ের শাড়ি পরা দেখে দেখে শাড়ির প্রতি তার প্রেমের শুরু। আর তাই শাড়ি কখনো তার কাছে ১২ হাত গল্প, ৬ গজের স্বপ্ন কিংবা একটা আবেগের নাম। আর তাই ২০১৯ সাল থেকে শাড়িতেই উদ্যোগের শুরু।
ছোট থেকেই ধুয়ে শুকানোর পর মায়ের শাড়ি কিংবা দিদির ওড়না ভাঁজ করার সময় শাড়ি পরার চেষ্টা থেকে শাড়ির প্রতি ভালোবাসার শুরু উদ্যোক্তার। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শাড়ি কেনার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও দাম যখন বাঁধা হয়ে দাঁড়াতো তখন মনে হতো এমন কোনো দোকান নেই কেনো যেখানে কম বাজেটে নিত্য নতুন শাড়ি পাওয়া যাবে। সেই ভাবনা থেকেই স্টুডেন্ট বাজেটে থিম বেইজড শাড়ি তৈরি শুরু করেন। এই থিমে টাইপোগ্রাফি প্রাধান্য পায়। আর বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়াতে দেশপ্রেমের হাতেখড়ি হয়েছিলো ছোট বেলাতেই। তাই মাধ্যম হচ্ছে দেশি কাপড়। সাথে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পাঞ্জাবি আর গহনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তার উদ্যোগের পণ্যগুলো হলো শাড়ী, পাঞ্জাবি, গহনা ও কাঠের ব্যাগ।
উদ্যোক্তা সিন্ধু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন এরই বদৌলতে সরকারি চাকরির কথা শুনতে হয়েছে প্রায়শই কিংবা এখনো শুনতে হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোক্তা নিজে কিছু করার প্রত্যয়ে সব পিছে পড়ে থাকে। চাকরি, সংসার আর উদ্যোগ একসাথে সামলাতে হিমশিম খান প্রায়ই কিন্তু মানিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা বরাবরই জিতে যান তিনি। উদ্যোগের শুরুতে একা হাতে সামলালেও বিয়ের পর স্বামীর সহোযোগিতা যেটুকু পেয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়।
তিনি কিছু মানুষের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি করেছেন। সব মিলিয়ে মোট ৫ জন কর্মী কাজ করছেন সিন্ধুতে। সারা দেশেই সিন্ধুর পণ্য যাচ্ছে। দেশের বাহিরে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি আর লন্ডনে গিয়েছে তার পণ্য।
উদ্যোক্তা হবার স্বপ্নে তার পাশে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি জানতে চাইলে উদ্যোক্তা জানান, “সবার প্রথমে আমার বন্ধু, তারপর আম্মু, দিদি ও আমার স্বামীর ভূমিকার কথাই বলবো। কারণ এই মানুষগুলো না থাকলে হয়তো আমার উদ্যোক্তা জীবনের সূচনা হতো না। ভবিষ্যতে দেশীয় পণ্যের এক বিশাল সমাহার হবে সিন্ধু যেখানে সব বাজেটের পণ্য পাওয়া যাবে।”
Posted ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin