
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
দ্রুত খ্যাতি পাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছিল ইরানি তরুণী শাহর তাবরকে, যার আসল নাম ফতেমা খিশভন্দ। ২০১৯ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মুখ বিকৃত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই দুর্নীতি এবং মতাদর্শে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড পান তিনি। কিন্তু বর্তমানে ইরানে শুরু হওয়া আন্দোলনের জেরে মুক্তি পেয়েছেন শাহর।
১৯ বছরের কিশোরী শাহর এখন ২১ বছরের তরুণী। মাঝের সময়টা কারাগারে অন্ধকারে থাকার পর তিনি জীবনটাকে চিনতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘মা সব সময় বলত এসব না করতে। কিন্তু আমি শুনিনি।’
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিকৃত ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পরই সবাই বিস্মিত হয়েছিলেন। কিন্তু সত্য়িই কি ওইরকম চেহারা হয়েছিল শাহরের? এতদিন পর নিজের আসল চেহারা ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেছেন ইরানের এই তরুণী। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, যে ছবিটি সামনে এসেছিল তা চূড়ান্ত অতিরঞ্জিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘আপনারা ইনস্টাগ্রামে যা দেখেছেন, তা ছিল কম্পিউটার এফেক্ট। এভাবেই আমি ছবিটা বিকৃত করেছিলাম।
শাহর জানিয়েছেন, তিনি নাকে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। পাশাপাশি ঠোঁটেও অস্ত্রোপচার এমনকি মেদ কমাতে লাইপোসেকশনও করিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এসব করায় তার চেহারা শিউরে ওঠার মতো হয়ে ওঠেনি।
গত সেপ্টেম্বর থেকে উত্তাল ইরান। এ সময় জেলবন্দি নারীদের প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠে আসে। সমাজকর্মীদের দাবি ছিল, শাহর তাবরের বয়স মাত্র ১৯। কেবল রসিকতা করতে গিয়েই তাকে জেলে যেতে হয়েছে। মেয়ের দুঃখে চোখের জলে দিন কাটাচ্ছেন মা। এই নিরীহ মেয়েটির জন্য সবাইকে সরব হতে বলেন অনেকেই। অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে ট্যাগ করেও পোস্ট করা হয়।।
শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছেন শাহর। আর স্বীকার করে নিয়েছেন, ইন্টারনেটের সুযোগে সহজে খ্যাতি পেতে গিয়ে কত বড় ভুল করে ফেলেছিলেন তিনি।
Posted ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin