
নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট
গাড়ি এবং কলকারখানার ধোঁয়ায় ক্ষতি হয় ফুসফুসের। শরীরের অন্যতম একটি অঙ্গ হলো ফুসফুস। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা বায়ুদূষণের সমস্যাও বিপজ্জনক হতে পারে ফুসফুসের জন্য। কাজেই সময় থাকতে ফুসফুসের যত্ন নেয়া জরুরি। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে একটি ফল। আর সেটি হচ্ছে আতা ফল।
ভিটামিন বি৬-সমৃদ্ধ আতা ফুসফুস সুস্থ রাখে। হাঁপানি রোগীদের কাছে এই ফল হতে পারে মহৌষধি। ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে আতার জুড়ি মেলা ভার। আতায় থাকা উপাদানগুলো ব্রঙ্কিয়াল টিউবে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রদাহ দূর করে। তবে আতা শুধু যে ফুসফুসের দেখভালো করে তা নয়।
কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে আতার ভূমিকা অনবদ্য। তবে অনেকেরই ধারণা, ডায়াবেটিস থাকলে বুঝি আতা খাওয়া যায় না।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আতার স্বাদ মিষ্টি। কিন্তু এই ফলে শর্করার পরিমাণ এমন কিছু বেশি নয়। ১০০ গ্রাম আতায় ক্যালোরির পরিমাণ ৯৪। প্রোটিন ২.১ গ্রাম। ফাইবার ৪.৪ গ্রাম। ফ্যাট নেই বললেই চলে। কার্বোহাইড্রেট ২৩.৬ গ্রাম। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি নয়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফলটি খেতে পারেন। আতায় পলিফেনলিক নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে।
আতায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো উপকারী সব উপাদান। ফুসফুস যত্নে রাখতে এই উপাদানগুলো দারুণ কার্যকর। আর আতার ফাইবার উপাদান ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফুসফুস ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ছেও। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরনে বদল আসা মানেই বুঝতে হবে সুস্থ নেই ফুসফুস। কখনো আবার অল্প হাঁটাহাঁটি কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই দম ফুরিয়ে যায়। এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নেবেনই। সেই সঙ্গে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন আতা। এর নানা পুষ্টিগুণ আপনার ফুসফুসকে সুস্থ রাখবে।
সূত্র: আনন্দবাজার
Posted ৩:৩৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২২
ajkerograbani.com | Salah Uddin